বাংলাদেশি শ্রমিক নেবে না কুয়েত?
৬ মার্চ ২০১৮ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কমের সঙ্গে আলাপকালে কুয়েত সফররত পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘ওয়ার্ক ভিসায় যাওয়ায় কোনো সমস্যা নেই৷’
যে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে তা ‘খাদেম ভিসা ২০’ বা গৃহশ্রমিক নেয়ার ক্ষেত্রে৷
শাহরিয়ার আলম সরকারি সফরে কুয়েত অবস্থান করছেন৷
তাঁর মতে, এখন কুয়েতে বিভিন্ন রকমের কর্মভিসায় প্রায় ৩ লাখ বাংলাদেশি আছেন৷
এর আগে, কুয়েতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ খালিদ আল জাররাহ এই ‘নিষেধাজ্ঞা' জারির নির্দেশ দিয়েছেন বলে দেশটির দৈনিক আল জারিদা'র খবর৷ নিরাপত্তা এজেন্সির সূত্রের বরাত দিয়ে এ খবর প্রকাশ করেছে তারা৷
গালফ নিউজ বলছে যে, কাজ ও রেসিডেন্স পারমিট দেয়ার ক্ষেত্রে কিছু অসাধু আদম ব্যবসায়ীও দালালের অসততার কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে৷ আর দিন দিন এসব পাচারকারীর সংখ্যা বাড়ছে৷ ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম এ বিষয়টি নিয়ে কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাসের লেবার কাউন্সেলর আবদুল লতিফ খানের সঙ্গে কথা বলেছে৷ তিনি বলেছেন যে, এ বিষয়ে এখনো তাঁর কাছে কোনো তথ্য নেই৷
বাংলাদেশ জনশক্তি উন্নয়ন ব্যুরোর বরাত দিয়ে গালফ নিউজ বলছে, সত্তর দশকের মাঝামাঝি কুয়েত বাংলাদেশ থেকে জনশক্তি আমদানি শুরু করে৷ ২০০৭ সাল পর্যন্ত ৪ লাখ ৮০ হাজার করে তারা৷
অনিয়ম ও অবৈধ কাজে যুক্ত থাকার অভিযোগে ২০০৭ সালে তারা বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেয়া বন্ধ করে দেয়৷ ২০১৪ সালে আবার সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়৷ কিন্তু দু'বছর পর পুরুষ গৃহশ্রমিক নেয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে৷ এছাড়া আরো কিছু কড়াকড়ি শর্ত আরোপ করে৷
কুয়েতের জনসংখ্যা ৪৫ লাখ৷ সেখানে বিদেশিরা দুই তৃতীয়াংশ৷ বিদেশিদের মধ্যে সেখানে সবচেয়ে বড় জনগোষ্ঠী ভারতীয়রা৷
জেডএ/এসিবি (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)