গোপনাঙ্গে অবাঞ্ছিত চুল?
অনেক নারী-পুরুষ গ্রীষ্মকালে ছোট পোশাক পরেন৷ ত্বক আরো সুন্দর, মসৃণ দেখানোর জন্য তারা গোপনাঙ্গের চুল শেভ করে থাকেন৷ কিন্তু তা কি ঝুঁকিমুক্ত? জেনে নিন ছবিঘর থেকে৷
যারা করেন
জার্মানিতে শতকরা ৫০ জন পুরুষ গোপনাঙ্গের অবাঞ্ছিত চুল পুরোপুরি শেভ করেন৷ আর নারীদের ক্ষেত্রে তা করেন শতকরা ৬৭ জন৷ শরীরের অন্য কিছু অংশ শেভ করে থাকেন শতকরা ৩৩ জন নারী৷ এই তথ্যটি প্রকাশ করেছে ‘ফিট ফর ফান’ ম্যাগাজিন৷
ঝুঁকি
ক্যালিফোর্নিয়ায় করা এক নতুন সমীক্ষা জানায়, যেসব নারী নিয়মিত গোপনাঙ্গের চুল শেভ করেন, তাদের যৌনাঙ্গে আঁচিল, পাপিলোমা ভাইরাস বা নানা সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে৷ তাছাড়া যৌনরোগ ছড়ানোর আশঙ্কাও থাকে৷ আর শেভ করার সময় যদি কোথাও কেটে যায় বা ক্ষত হয় সেটাও মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে বলে জানান বিশেষজ্ঞরা৷
ভালো দিক
গোপনাঙ্গের চুল শরীরের সৌন্দর্যের জন্য অত্যাবশ্যক নয়৷ তবে এ চুল শরীরের সংবেদনশীল অংশে জীবাণুর প্রবেশে বাধা দেয়, অর্থাৎ অবাঞ্ছিত চুল নারী ও পুরুষের স্বাস্থ্য রক্ষায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে৷
গোপনাঙ্গ শেভ করা নতুন কিছু নয়!
প্রাচীনযুগে ইলেক্টিক শেভার বা সেরকম কিছু না থাকলেও মিশরীয়রা তাদের গোপনাঙ্গ শেভ করতেন৷ তাঁরা এ কাজে ধারালো ছুরি ব্যবহার করতেন৷
সব ফ্যাশনই বদলায়!
তবে গোপনাঙ্গের চুল কাটার ফ্যাশন শুরু হয় ১৯ শতকে, মূলত ইউরোপে৷ ৭০-এর দশকে গোপনাঙ্গ শেভ করা আবার উঠে যায়৷ তবে ৯০-এর দশকের দিকে গোপনাঙ্গ শেভ করার ট্রেন্ড আবার ফিরে আসে৷