হামিদ মীরের লেখা নিয়ে বিতর্ক
৩০ জুলাই ২০১৩পাকিস্তানি সাংবাদিক হামিদ মীর মূলত কলাম লেখক হিসেবে বাংলাদেশে বিশেষ পরিচিত৷ বাংলাদেশের একাধিক দৈনিকে তাঁর লেখা প্রকাশ পেয়েছে৷ এই পরিচিতি সম্পর্কে কিছুদিন আগে সামহয়্যার ইন ব্লগে পিনাকি ভট্টাচার্য লিখেছেন, ‘‘মুশকিল হচ্ছে পাকিস্তানের শাসক গোষ্ঠী কখনোই তাদের কৃত অপরাধের জন্য ক্ষমা চায়নি যদিও জনগণের পক্ষে অনেকেই ৭১ এর অপরাধের জন্য বাংলাদেশের জনগণের কাছে আন্তরিকভাবে ক্ষমা চেয়েছেন (যেমন হামিদ মীর), সেই ক্ষমা প্রার্থনা আমরাও গ্রহণ করেছি৷ হামিদ মীর বাংলাদেশে একজন সম্মানিত পাকিস্থানী৷''
২৯ জুলাই বাংলা অনলাইন পত্রিকা নতুনবার্তায় প্রকাশিত একটি লেখা অবশ্য হামিদ মীরের এই ভাবমূর্তিকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে৷ পাকিস্তানের জং পত্রিকায় প্রকাশিত তাঁর একটি লেখার বাংলা অনুবাদে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘‘গোলাম আযম বলেন, তিনি ১৯৭১ সালের ১৪ আগস্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিচালিত সেনা অভিযানের কঠোর প্রতিবাদ জানান৷ কিন্তু ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ করা হয়, গোলাম আযম পাকিস্তান বাহিনীর সঙ্গে মিলে আল বদর প্রতিষ্ঠা করেন এবং আওয়ামী লীগের সমর্থকদের হত্যা করেন৷''
হামিদ মীরের এই লেখার সমালোচনা করেছেন অনেক বাংলা ব্লগার৷ ফেসবুকে ব্লগার অণু তারেক লিখেছেন, ‘‘জনাব হামিদ, আপনি একটা ভণ্ড , মানবতার মুখোশধারী খাঁটি ***, যার কাজ ছিল ইনিয়ে বিনিয়ে ১৯৭১-র জন্য ক্ষমা চাওয়া, বিচার নয়! আজ স্পষ্ট জানা গেছে আপনি কী চান৷''
মূলত দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় কলাম লেখেন হামিদ মীর৷ এই দিকে ইঙ্গিত করে ব্লগার সুব্রত শুভ ফেসবুকে লিখেছেন, ‘‘হামিদ মীরের লেখা নিয়ে প্রথম আলোর অনুভূতি কী? নাকি কয়দিন পর আবার হামিদ মীরের লেখা ছেপে আন্তর্জাতিক মানবতাবাদীর পরিচয় দেবে৷''
হামিদ মীরকে নিয়ে ফেসবুকে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার বিষয়টি স্ট্যাটাসে তুলে এনেছেন ব্লগার আরিফ জেবতিক৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘হামিদ মীর যে এত বড় একটা স্টার, তা আজকে ফেসবুকে লগইন না করলে জানতাম না৷ আফসোস, বাঙালরা উর্দুতে স্ট্যাটাস দিতে পারে না৷ নাইলে এসব স্ট্যাটাস দেখিয়ে হামিদ্যায় এবার পাকি প্রেসিডেন্ট হইবার কম্পিটিশনে দাঁড়ায়া যাইত৷''
সংকলন: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন