গোয়েন্দাদের নজরদারির ধরন কি তবে বদলে যাবে?
৯ ফেব্রুয়ারি ২০১১সামাজিক নেটওয়ার্কগুলো রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে কিনা, এবার তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷ টিউনিশিয়ার প্রেসিডেন্ট বেন আলির উৎখাতে যারা আন্দোলনে নেমেছিলো এবং মিশরের গণ আন্দোলনে যারা পথে নেমেছে, তাঁদের প্রায় সবারই ফেসবুক বা টুইটারে অ্যাকাউন্ট রয়েছে৷ আর এই আন্দোলনগুলোকে সমন্বিত করতে নাকি ভূমিকা রেখেছে এই সব সামাজিক নেটওয়ার্কগুলো৷ তাই এবার গোয়েন্দাগিরি শুরু হয়েছে টুইটার এবং ফেসবুক নিয়ে৷ কেননা, সামাজিক যোগাযোগ বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে এই সাইটগুলো এইধরণের ঘটনায় ইন্ধনও যোগাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে৷
গত বছরের শেষদিকে লন্ডনে ছাত্র আন্দোলনের ক্ষেত্রেও একই বিষয় ঘটেছিলো৷ এই বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের একজন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘‘এই ধরণের যে কোনো পরিস্থিতিতে সামাজিক মাধ্যমগুলো অবাধ তথ্য প্রবাহের মধ্য দিয়ে গণ আন্দোলনে গতি সঞ্চার করতে পারে৷''
ইনটেলিজেন্স এজেন্সিগুলো অপরাধ এবং চরমপন্থীদের সনাক্ত করার জন্য সামাজিক এই নেটওয়ার্কগুলোর উপর সতর্ক দৃষ্টি রাখছেন৷ বিশেষভাবে নজরদারি করা হচ্ছে সেইসব দেশের মানুষদের উপর, যেসব দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো নয় এবং মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে৷
টিম হার্ডি একজন ব্রিটিশ সফটওয়্যার প্রকৌশলী৷ তিনি বলেন, ‘‘এটা খু্বই পরিষ্কার৷ এর মাধ্যমে আপনি সহজেই দেখতে পারেন, কে কেমন মানুষ এবং কে কার সঙ্গে কথা বলছেন৷''
ফেসবুকের মাধ্যমে জাগ্রত হয়ে সুদানেও সম্প্রতি কিছু প্রতিবাদের ঘটনা ঘটেছে৷ এরপরই আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করেছেন, লোকজনকে গ্রেপ্তার করার জন্য পুলিশ এই সাইটটি ব্যবহার করছে৷ তবে এইকথার ভিন্নমতও পোষণ করেছেন কেউ কেউ৷ বলছেন, টেলিফোনে আড়িপাতা কিংবা সরাসরি জিজ্ঞাসাবাদের চেয়ে বরং উন্মুক্ত এই সাইটের মাধ্যমে কমই অনধিকার চর্চা করা যায়৷
প্রতিবেদন: জান্নাতুল ফেরদৌস
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন