গ্রামীণ ব্যাংক
৩ আগস্ট ২০১২প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রী পরিষদের সভায় গ্রামীণ ব্যাংকের সংশোধিত অধ্যাদেশ ২০১২ চূড়ান্ত হয়েছে৷ এতে গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান বোর্ডের সঙ্গে পরামর্শ করে তিন জনের একটি প্যানেল নির্বাচন করবেন৷ তাঁদের মধ্য থেকেই একজনকে এমডি নিয়োগ করবেন তিনি৷
প্রসঙ্গত, আগে এই ক্ষমতা ছিল সিলেকশন কমিটির হাতে৷ তাঁদের সুপারিশ করা তিন জনের মধ্য থেকে একজনকে নিয়োগ দিত বাংলাদেশ ব্যাংক৷ যা জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররফ হোসেন ভুইয়া৷
শুধু তাই নয়, বয়স ৬০ বছর পূর্ণ হওয়ার পর ড. ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংক থেকে যে সুবিধা নিয়েছেন, বিদেশ থেকে যে রেমিটেন্স নিয়েছেন এবং যে কর রেয়াত নিয়েছেন, তার হিসাব দিতে হবে তাঁকে৷
গ্রামীণ ব্যাংকের সংশোধিত অধ্যাদেশ ২০১২ মন্ত্রিসভায় চূড়ান্ত হওয়ার পর, বৃহস্পতবার সন্ধ্যায়, এক লিখিত বিবৃতিতে ড. মুহাম্মদ ইউনূস এমডি নিয়োগের বিধিতে পরিবর্তন আনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন৷ তিনি বলেছেন, এই সিদ্ধান্ত ব্যাংকটিকে ধ্বংস করে দেবে৷ তাঁর মতে, এই সিদ্ধান্তের ফলে ব্যাংকের মালিকানা থেকে গরিব মালিকরা বঞ্চিত হবেন৷ তিনি তাদের মালিকানা খর্ব না করতে সরকার ও দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান৷ ড. ইউনূস বলেন, তিনি আগেই এই শঙ্কা প্রকাশ করে আসছিলেন এবং এই শঙ্কা এখন বাস্তবে রূপ নিতে শুরু করেছে৷
এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. ফরাস উদ্দিন আহমেদও গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি নিয়োগের পদ্ধতি পরিবর্তনের সমালোচনা করেছেন৷ তিনি বলেছেন, এতে ব্যাংকটি ক্ষতিগ্রস্ত হবে৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ