বরফ গলছে দ্রুত
১ সেপ্টেম্বর ২০১৪মেরু ও সামুদ্রিক গবেষণাকেন্দ্র আলফ্রেড ভেগেনার ইন্সটিটিউট-এর গবেষকরা ইসা-স্যাটেলাইটের সাহায্যে প্রথমবারের মতো গ্রিনল্যান্ড ও অ্যান্টার্কর্টিকার বরফের স্তর সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে একটি মানচিত্র প্রকাশ করেছেন৷ এতে জানা গেছে, এই দুই অঞ্চলে বরফের স্তর রেকর্ড গতিতে সংকুচিত হচ্ছে৷
সঠিক তথ্য উঠে আসে
ম্যাপসহ গবেষণার ফলাফল ইউরোপিয়ান জিওসাইন্স ইউনিয়নের একটি অনলাইন ম্যাগাজিন ‘দ্য ক্রায়োস্ফিয়ার'-এ প্রকাশিত হয়েছে৷
‘‘এই নতুন ম্যাপ হলো স্ন্যাপশট, যা আমাদের বরফের স্তরের বর্তমান অবস্থা দেখাতে পারে৷'' বলেন গবেষণার নেতৃত্বদানকারী লেখক ভাইট হেল্ম৷
‘‘এতে বরফের উচ্চতা সম্পর্কে সঠিক তথ্য উঠে আসে৷ সব মিলিয়ে ১৬ মিলিয়ন বর্গকিলোমিটারের বেশি একটা চিত্র পাওয়া গিয়েছে৷ আগের বিবরণের চেয়ে ৫০০,০০০ বর্গকিলোমিটার বেশি৷''
নতুন স্যাটেলাইটটি ২০১০ সালে আকাশে ছাড়া হয়েছে৷ এতে সংযুক্ত করা হয়েছে একটি রাডার, যা মেরু অঞ্চলের বরফের স্তর পরিমাপ করতে পারে৷
বরফ গলছে দ্রুত গতিতে
গবেষকরা স্যাটেলাইটের তথ্য-উপাত্ত পরীক্ষা করে ২০১১ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত বরফের স্তরের পরিবর্তনটা লক্ষ্য করেছেন৷ বরফের ওপরে পড়া তুষার জমে গেলে বরফের ঘনত্বও বৃদ্ধি পায়৷ অন্যদিকে বরফ গলে গেলে তার আয়তন ও ঘনত্বও কমে যায়, পতিত হয় সমুদ্রে৷
বরফের উচ্চতার পরিবর্তন বের করার জন্য বিশেষজ্ঞরা অ্যান্টার্কটিকার ২০০ মিলিয়ন পয়েন্ট ও গ্রিনল্যান্ডের প্রায় ১৪.৩ মিলিয়ন পয়েন্ট মাপজোক করেছেন৷ এতে দেখা গিয়েছে শুধু গ্রিনল্যান্ডই প্রতিবছর ৩৭৫ কিউবিক কিলোমিটার বরফ হারাচ্ছে৷
২০০৯ সালের স্যাটেলাইট তথ্য-উপাত্তের সঙ্গে সাম্প্রতিক তথ্য পরীক্ষা করে গবেষকরা লক্ষ্য করেছেন, গ্রিনল্যান্ডে বরফ হারানোর পরিমাণ দ্বিগুণ হয়েছে, আর পশ্চিম অ্যান্টার্কটিকায় হয়েছে তিন গুণ৷
ক্ষতি পোষাচ্ছে না
এই দুই জায়গার ক্ষতির পরিমাণ যোগ করলে বোঝা যায় বর্তমানে প্রতি বছর ৫০০ কিউবিক কিলোমিটার বরফ গলে যাচ্ছে৷ ২০ বছর আগে স্যাটেলাইটের সাহায্যে পরিমাপ শুরু করার পর থেকে এমন ক্ষয় লক্ষ্য করা যায়নি৷ জানান সংশ্লিষ্ট গবেষকরা৷
অন্যদিকে পূর্ব অ্যান্টার্কর্টিকায় বরফের স্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে৷ তবে এই পরিমিত বর্ধন মহাদেশের অন্যপ্রান্তের ব্যাপক ক্ষতিটা পুষিয়ে দিতে পারছে না৷