1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গ্রিস সংকট

ব্যার্ন্ড রিগার্ট/এসবি৮ জুলাই ২০১৫

রবিবার আবার গ্রিসের জন্য চরমপত্র জারি করা হয়েছে৷ আরও একটি ইইউ শীর্ষ সম্মেলন প্রায় দেউলিয়া হয়ে যাওয়া দেশটির ভবিষ্যৎ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেবে৷ ব্যার্ন্ড রিগার্ট মনে করেন, এই পরিকল্পনা ঝুঁকিতে ভরা৷

https://p.dw.com/p/1Fuv9
Griechenland Referendum Symbolbild
ছবি: Getty Images/AFP/A. Messinis

বিদ্রোহী গ্রিসকে আবার সঠিক পথে ফেরত আনতে অনেক কষ্টে ইউরোজোন শেষ চেষ্টা করতে এক ঐকমত্যে পৌঁছেছে৷ তাতে সাফল্য আসবে কিনা, তা নিয়ে গভীর সন্দেহ রয়েছে৷ বামপন্থি ব়্যাডিকাল প্রধানমন্ত্রী আলেক্সিস সিপ্রাস-কে এর আগেও অনেকবার ‘সাধারণ' সময়সীমা, ‘শেষ' সময়সীমা, ‘চূড়ান্ত' সময়সীমা দেওয়া হয়েছে৷ তাই নতুন করে আগামী রবিবার পর্যন্ত যে সময়সীমা দেওয়া হয়েছে, তা মানা হবে এবং ফলাফল পাওয়া যাবে – এমনটা বিশ্বাস করা খুব কঠিন৷

এদিকে যে গণভোটে গ্রিসের মানুষ দ্বিতীয় সাহায্য কর্মসূচির বিরুদ্ধে রায় দিয়েছিলেন, তার ফলাফল কিন্তু উপেক্ষা করা হচ্ছে৷ নতুন করে তৃতীয় দফার আরও বড় আকারের সাহায্য কর্মসূচি দিয়ে গ্রিসকে রক্ষা করার চেষ্টা চলছে৷ অবশ্যই তাতে জুড়ে দেওয়া হচ্ছে অনেক নতুন শর্ত৷ ভালো করে পড়ে দেখলে বোঝা যাবে, যে আইনসঙ্গত এই কর্মসূচির মানদণ্ড কিন্তু আগের থেকেও অনেক কড়া৷

জয়ের আনন্দে মাতোয়ারা পপুলিস্ট নেতা সিপ্রাস কি সেই কর্মসূচি অনুমোদন করাতে পারবেন? ইউরো এলাকার দেশগুলির সংসদগুলিও কি আগামী দুই বছরে আরও একবার কোটি কোটি ইউরো বিনিয়োগ করার ছাড়পত্র দিতে প্রস্তুত? এথেন্সে বসে যে প্রধানমন্ত্রী দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ করে এসেছেন, যিনি সম্প্রতি দাতাদের ব্ল্যাকমেলার তকমা দিয়ে গালিগালাজ করেছেন, তাঁর প্রতি আস্থা রাখা যায় কি?

গ্রিসের জন্য পশ্চাদ্গতি

আগামী রবিবার পর্যন্ত এ সব প্রশ্নের জবাব পাওয়া যাবে৷ ততদিন পর্যন্ত সার্বিক এক কর্মসূচির কাঠামো প্রস্তুত করার কাজ চলবে৷ গ্রিসকে আবেদন ও কাগজপত্র পেশ করতে হবে৷ সেটা আদৌ সম্ভব হবে কিনা, তাও দেখতে হবে৷ তারপর দ্রুত গতিতে সেই সব কাগজপত্র পরীক্ষা করতে হবে৷ ইইউ কমিশনকে ঘোষণা করতে হবে, যে ইউরো এলাকার স্থিতিশীলতা বিপন্ন৷ কারণ এটাই ইউরোপীয় জরুরি তহবিল – ইএসএম কাজে লাগানোর পূর্বশর্ত৷ এতকাল কমিশন বলে এসেছে, যে গ্রিক সংকট ইউরো এলাকার জন্য মোটেই কোনো হুমকি নয়৷ এখন আচমকা সবকিছু বদলে গেল৷ এই দৃষ্টান্ত দেখিয়ে দিচ্ছে, গ্রিসকে রক্ষার্থে যে সব পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে, তার ভিত্তি মোটেই তেমন মজবুত নয়৷ কী ভাবেই বা সেটা সম্ভব? বার্লিন ও প্যারিসের নীতি-নির্ধারকরা একেবারে শেষ মুহূর্তে এই শেষ সম্ভাবনা তুলে ধরেছেন৷

Riegert Bernd Kommentarbild App
ব্যার্ন্ড রিগার্ট

অথচ দুই পক্ষের সদিচ্ছা থাকলে গত এপ্রিল মাসেই প্রয়োজনীয় সাহায্য কর্মসূচি সম্পর্কে আলোচনা হতে পারতো৷ কিন্তু গ্রিক সরকারের দায়িত্বজ্ঞানহীন গোঁয়ারতুমির কারণে একেবারে শেষ মুহূর্তে এই চাপ সৃষ্টি হয়েছে৷ তারা এর মধ্যে দেশকে আর্থিক বিপর্যয়ের প্রান্তে ঠেলে দিয়েছে৷ অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের কার্যত জিম্মি করে আলেক্সিস সিপ্রাস লড়াই করে শেষ বারের মতো একটা সুযোগ আদায় করেছেন৷ এখনও তিনি সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার না করলে ‘গ্রেক্সিট' অনিবার্য৷ ইউরো এলাকায় গ্রিসকে তখন আর ধরে রাখা যাবে না৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান