গ্রিসের লেসবস দ্বীপে কেমন আছেন শরণার্থীরা?
লেসবস দ্বীপে থাকা শরণার্থীদের সেবা দিতে ইউরোপের কাছ থেকে আর্থিক সহায়তা পেতো বিভিন্ন এনজিও৷ কিন্তু আগস্ট মাসে সেই বরাদ্দ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এনজিওগুলো চলে যাচ্ছে৷
তহবিল শেষ
গ্রিসের লেসবস দ্বীপে যেসব শরণার্থী আছেন তাঁদের চিকিৎসা, আইনগত সেবাসহ অন্যান্য সেবা দিতো বিভিন্ন এনজিও৷ এতদিন তারা ইউরোপীয় বিভিন্ন রাষ্ট্র ও সংস্থার কাছ থেকে তহবিল পেতো৷ কিন্তু আগস্ট মাসে সেটি বন্ধ হয়ে গেছে৷ তাই অনেক এনজিও ইতিমধ্যে কাজ বন্ধ করে দিয়েছে বা দেয়ার পরিকল্পনা করছে৷ ফলে শরণার্থীদের জীবন আরও কঠোর হয়ে উঠছে৷
কৌশল?
শরণার্থীদের জন্য তৈরি করা একটি গোসলখানায় শ্যাম্পু আর পানির বোতল পড়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে৷ পরিচ্ছন্ন গোসলখানার অভাবে শরণার্থীদের তাই অন্য ব্যবস্থা করতে হচ্ছে৷ অনেক শরণার্থী মনে করছেন, তাদের জীবন দুর্বিষহ করে তোলার জন্য ইচ্ছে করেই এমন পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে৷
সিদ্ধান্তের অপেক্ষায়
ইরিত্রিয়ার শরণার্থী আমান তাঁর তাঁবুতে এই সাংবাদিককে চা বা পানি দিতে না পারায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন৷ তিন মাস আগে তিনি লেসবসে যান৷ তাঁর আশ্রয় আবেদনের ব্যাপারে কী সিদ্ধান্ত হয় তা জানার অপেক্ষায় আছেন তিনি৷
‘উই আর হিউম্যান’
আফগানিস্তান থেকে আসা এক আশ্রয়প্রার্থী লেসবসে শরণার্থীদের খারাপ পরিস্থিতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন৷ বেশিরভাগ আফগান শরণার্থী প্রায় এক বছর ধরে লেসবসে বসবাস করছেন৷ এখনও তাদের আবেদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি৷
লেসবসবাসীদের প্রতিক্রিয়া
২০১৫ সালে শরণার্থী সংকট শুরুর পর লেসবসে পর্যটকদের আগমন কমে গেছে৷ তারপরও লেসবসে বসবাসকারীরা শরণার্থীদের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করছেন৷ কিন্তু গ্রিসের একার পক্ষে শরণার্থীদের জন্য বিশেষ কিছু করা সম্ভব নয় বলে মনে করেন তাঁরা৷
স্বেচ্ছাসেবীদের আনাগোনা
এনজিওদের কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেক স্বেচ্ছাসেবী লেসবসে শরণার্থীদের সেবা দিচ্ছে৷ ছবিতে জার্মান এক চিকিৎসককে সেবা দিতে দেখা যাচ্ছে৷ তবে অনেক শরণার্থীর অভিযোগ, চিকিৎসকরা যে কোনো সমস্যায় খালি ব্যথানাশক দিয়ে থাকেন৷
আয়ের চেষ্টা
ইরানি এই নারী সাগরে ভেসে আসা লাইফ ভেস্ট দিয়ে থলে ও ওয়ালেট তৈরি করছেন৷ এভাবে সামান্য আয় যেমন হয়, তেমনি শরণার্থী জীবনের একঘেঁয়েমি থেকেও কিছুটা মুক্তি মেলে৷
প্রতিদিন শরণার্থী আসছে
জাতিসংঘের হিসেবে, গ্রিসে এ বছর এখন পর্যন্ত প্রায় ১৪ হাজার শরণার্থী এসেছে৷ গত বছর এসেছিল এক লক্ষ ৭৩ হাজার৷ এর মধ্যে সাড়ে ১২ হাজার জনের আবেদন গৃহীত হয়েছে৷