গ্রেপ্তারকৃতরা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সংগঠন ইসকনের অনুসারী: উপ-কমিশনার (অপরাধ) রইছ উদ্দিন
চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র উপ-কমিশনার (অপরাধ) রইছ উদ্দিন ডয়চে ভেলেকে বলেন, "হাজারী গলিতে যৌথ বাহিনীর ওপর হামলার ঘটনায় ৪৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর আগে ৮২ জনকে আটক করা হয়েছিল। বাকি ৩৩ জনের ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় অভিভাবকদের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় কোতোয়ালি থানার এসআই মিজানুর রহমান বাদি হয়ে সরকারী কাজে বাধা, পুলিশের উপর হামলা ও এসিড নিক্ষেপের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় গ্রেপ্তার ৪৯ জনসহ অজ্ঞাত ৫০০-৬০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। গ্রেপ্তার ৪৯ জনের সবাই হিন্দু সম্প্রদায়ের।”
মো. রইছ উদ্দিন বলেন, "গ্রেপ্তারকৃতরা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সংগঠন ইসকনের অনুসারী। ইসকন নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়াকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কিছু সংক্ষুব্ধ লোক ওসমান আলী নামে এক ব্যক্তিকে হাজারী গলিতে তার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে অবরুদ্ধ করে রাখেন। জরুরি জাতীয় পরিষেবা ৯৯৯-এর মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে কোতোয়ালি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওসমান আলীকে উদ্ধারের চেষ্টা করে। এ সময় উচ্ছৃঙ্খল জনতা পুলিশের কাছ থেকে ওসমান আলীকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। পরিস্থিতির অবনতি হলে সেনাবাহিনীসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দ্রুত সেখানে যান। উচ্ছৃঙ্খল জনতার নিক্ষিপ্ত ইটপাটকেলের আঘাতে ৭ পুলিশ সদস্য আহত হন, যাদের মধ্যে একজনকে অ্যাসিড মারা হয়। এ সময় সেনাবাহিনীর পাঁচ সদস্যও আহত হয়েছেন।”