ঘুমের জন্য আদর্শ সময় হচ্ছে সাত ঘন্টা
১৪ আগস্ট ২০১০একজন মানুষের ঘুমের জন্য আদর্শ সময় হচ্ছে সাত ঘন্টা৷ যেসব মানুষ প্রতিদিন সাত ঘন্টার কম বা বেশি ঘুমিয়ে থাকেন, তাঁদের মধ্যে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়৷ আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এটা মৃত্যুর একটি বড় কারণ৷ সম্প্রতি একটি সমীক্ষায় এমন একটা তথ্যই উঠে এসেছে৷
দিন ও রাত মিলিয়ে পাঁচ ঘন্টার কম ঘুমালে বুকে ব্যাথা, হৃদপিন্ডের ধমনীতে রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়া, হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি নাকি দ্বিগুন বেড়ে যায়৷ যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদে পরিচালিত এ গবেষণাটির কথা বলা হয়েছে ‘স্লিপ' পত্রিকাতে৷ সমীক্ষাটিতে বলা হয়েছে, সাত ঘন্টার বেশি ঘুমালেও কিন্তু আবার হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে৷ সমীক্ষায় যারা অংশ নিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে নয় ঘন্টা বা তারও বেশি যাঁরা ঘুমিয়েছিলেন - তাঁদের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি, যাঁরা সাত ঘন্টা ঘুমিয়েছিলেন - তাঁদের চেয়ে এক থেকে দেড় গুন বেশি৷ অবাক হলেন ?
জানা গেছে, ৬০ বছরের কম পূর্ণ বয়স্ক যেসব মানুষ পাঁচ ঘন্টা বা তার চেয়ে কম ঘুমান, তাঁরা আছেন সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে৷ যারা সাত ঘন্টা ঘুমান, তাঁদের চেয়ে এইসব মানুষদের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি প্রায় তিন গুন বেশি৷ আর যেসব নারী ঘুমের ক্ষেত্রে কৃপণ, অর্থাৎ যাঁরা প্রতিদিন পাঁচ ঘন্টা বা তারও কম ঘুমান - তাঁদের হৃদরোগের সম্ভাবনা দুই থেকে আড়াইগুন বেশি৷ গবেষণাটিতে দেখা যাচ্ছে, অল্প ঘুমের কারণে বুকে ব্যাথা হয়৷ অন্যদিকে, বেশি বা কম ঘুম হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়৷
‘স্লিপ' পত্রিকার আরেকটি সমীক্ষাতে বলা হয়েছে, যাঁরা চাইলেও পর্যাপ্ত ঘুমানোর সময় পাননা - মাঝে মধ্যে লম্বা ঘুম কিন্তু তাঁদের জন্য কাজে আসতে পারে৷ যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেনিয়া স্কুল অব মেডিসিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘দ্য স্লিপ অ্যান্ড ক্রোনোবায়োলজি ইউনিট'এর প্রধান ডেভিড ডিংগস তাঁর গবেষণায় দেখতে পান, প্রাপ্ত বয়স্কদের অনেকেই কাজের কারণে পাঁচ রাত ঠিকমতো ঘুমোতে পারেননা৷ যা তাঁদের শরীরে অত্যন্ত নেতিবাচক প্রভাব ফেলে৷ তবে কেউ যদি পুরো এক সপ্তাহ ধরে রাতে মাত্র চার ঘন্টা করে ঘুমানোর পর ছুটির দিন টানা ১০ ঘন্টা ঘুমাতে পারেন, তাহলে তা কাজে দেয় অনেকটাই৷
প্রতিবেদন: জান্নাতুল ফেরদৌস
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ