ঘুস কেলেঙ্কারি নিয়ে ফিফার এথিক্স কমিটির গোপন প্রতিবেদন
২৩ জুন ২০১১বুধবার যুক্তরাজ্যের প্রেস অ্যাসোসিয়েশনের কাছে ফিফা এথিক্স কমিটির একটি গোপন প্রতিবেদন পৌঁছানোর পর আবারও চাঙ্গা হয়ে উঠেছে ঘুস কেলেঙ্কারির আলোচনা৷ প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের প্রধান বিন হাম্মামের বিরুদ্ধে ‘ব্যাপক, বিশ্বাসযোগ্য এবং অভিভূত হওয়ার মতো' সাক্ষ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে৷ এছাড়া ফিফার সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট জ্যাক ওয়ার্নার এর বিরুদ্ধে এই ঘুস লেনদেনে সহায়ক হিসেবে কাজ করার প্রমাণ রয়েছে৷
তবে এর আগেই চলতি সপ্তাহে ফিফা জানিয়ে দিয়েছে যে, ওয়ার্নার ফিফার ভাইস প্রেসিডেন্টের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন এবং ফুটবল সংক্রান্ত সকল কর্মকাণ্ড থেকে বিদায় নিয়েছেন তিনি৷ তাই একইসাথে তাঁর বিরুদ্ধে ঘুস কেলেঙ্কারির সাথে জড়িত থাকার ঘটনা তদন্ত প্রক্রিয়াও স্থগিত করা হয়েছে এবং তাঁকে নিষ্পাপ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে৷
কিন্তু সর্বশেষ প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ফিফা প্রেসিডেন্ট হিসেবে বিন হাম্মামকে বিজয়ী করার জন্য কর্মকর্তাদের ঘুস দেওয়া হয়েছে৷ আর এই কাজে সহযোগিতা করেছেন ওয়ার্নার বলেই সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে৷ ত্রিনিদাদে মে মাসের ১০ এবং ১১ তারিখ ক্যারিবিয়ান ফুটবল ইউনিয়নের ২৫ জন সদস্যের এক বিশেষ বৈঠক আয়োজন করেছিলেন হাম্মাম এবং ওয়ার্নার৷ সেই বৈঠকে তাঁদের উভয়ের জ্ঞাতসারেই সদস্যদের মাঝে উপহার হিসেবে অর্থ বিতরণ করা হয়েছিল তার যথেষ্ট প্রমাণের কথাও উল্লেখ রয়েছে এই প্রতিবেদনে৷ এই প্রতিবেদনের ভাষ্য মতে, সেই বৈঠকে উপস্থিত প্রত্যেক সদস্যকে হলুদ খামে করে ৪০ হাজার ডলার করে দেওয়া হয়েছিল৷ এই ঘটনার অন্যতম প্রত্যক্ষদর্শী বাহামার প্রতিনিধি ফ্রেড লান এই খামটি ফেরত দেওয়ার আগে তার ভেতরে থাকা মুদ্রাগুলোর ছবি তুলে নিয়েছিলেন৷
অথচ অভিযোগ উত্থাপনের পর থেকেই বিন হাম্মাম এবং ওয়ার্নার উভয়েই এই অপরাধের কথা অস্বীকার করে আসছেন৷ এমনকি বুধবার ফাঁস হওয়া প্রতিবেদনের তথ্যকেও বিভ্রান্তিকর এবং মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিয়েছেন ওয়ার্নার৷ তাঁর যুক্তি, ‘‘এথিক্স কমিটির কাছে যদি বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ থাকে তবে আমার পদত্যাগ পত্র কেন তারা গ্রহণ করল এবং আমার বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগের তদন্তও কেন গত সপ্তাহে স্থগিত করা হলো?''
প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই
সম্পাদনা : সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়