‘ঘুসের শাস্তি দিতে ব্যর্থ শীর্ষ রপ্তানিকারকরা'
১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮অরগানাইজেশন ফর ইকনোমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড অ্যান্টি-করাপশন- ওইসিডির দুর্নীতিবিরোধী কনভেনশন কিভাবে বিভিন্ন দেশে প্রয়োগ হচ্ছে, তা যাচাই করেছে বার্লিনভিত্তিক এই দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা৷
বুধবার প্রকাশিত এ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের মোট রপ্তানির ৬৫ শতাংশই এই ৪৪টি দেশ থেকে হয়ে থাকে৷ এর মধ্যে ৪০ শতাংশ পণ্যের রপ্তানিকারক ২২টি দেশই বিদেশে ঘুস প্রদান বন্ধে ‘প্রায় কোনো ব্যবস্থাই নেয় না'৷
এই তালিকায় ওপরের দিকে আছে মেক্সিকো, ফিনল্যান্ড, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, তুরস্ক এবং রাশিয়ার নাম৷ ওইসিটডি কনভেনশনে সাক্ষর করেনি এমন দেশের মধ্যে চীন ও ভারতের নামও আছে তালিকায়৷
২৭ শতাংশ পণ্যের রপ্তানিকারক সাত দেশ উৎকোচপ্রদান বন্ধে আইন প্রয়োগে বেশ ‘সক্রিয়' বলে মনে করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল৷ এই তালিকায় সবচেয়ে বেশি পয়েন্ট পেয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ইসরায়েল, সুইজারল্যান্ড, নরওয়ে এবং ইটালি৷
‘মোটামুটিভাবে' আইন প্রয়োগ করা হয়, এমন চার দেশ হলো অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, পর্তুগাল এবং সুইডেন৷ এছাড়াও ‘সীমিতভাবে' আইন প্রয়োগ করে এমন দেশ রয়েছে ১১টি৷ এই দেশগুলো থেকে বিশ্বের ১২ দশমিক ৩ শতাংশ রপ্তানি হয়ে থাকে৷
সবার ওপরে চীন
চীন একাই বিশ্বের ১০ দশমিক ৮ শতাংশ রপ্তানি করে থাকে৷ কিন্তু ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বলছে, বিদেশে ঘুস প্রদান বন্ধে চীনই অন্য সব দেশের চেয়ে পিছিয়ে৷ বিশ্বের সবচেয়ে বড় রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে চীনের ‘বিশেষ দায়িত্ব' রয়েছে বলেও মনে করে সংস্থাটি৷
প্রতিবেদনে বলা হয়ছে, ‘‘আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রতিরোধে চীনের ভূমিকা অন্য রপ্তানিকারক দেশগুলোকেও প্রভাবিত করে৷''
ওইসিডি কনভেনশনে সাক্ষর না করলেও জাতিসংঘের দুর্নীতি বিষয়ক কনভেনশনে সাক্ষর করেছে চীন, ভারত, সিঙ্গাপুর এবং হংকং৷
‘ক্ষতিকর প্রভাব'
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের প্রধান ডেলিয়া ফেরেইরা রুবিওর মতে, ‘‘বিশ্বের মোট রপ্তানির এত বড় একটি অংশ বিনা ফলভোগে দুর্নীতি করে যাচ্ছে, যা একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়৷''
তিনি মনে করেন, ‘‘সরকারগুলো ওইসিডি এবং জাতিসংঘের কনভেনশন অনুযায়ী বিদেশি কর্মকর্তাদের ঘুস প্রদান প্রতিরোধে আইন প্রয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল৷ কিন্তু তারপরও অনেক দেশ বড় ধরনের দুর্নীতিরও কোনো তদন্ত করছে না৷ এসব দুর্নীতির ঘটনায় অনেক রাষ্ট্রীয় সংস্থা এবং জ্যেষ্ঠ রাজনীতিবিদও জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে৷ দেশগুলোর সাধারণ মানুষের উপর এর প্রভাব বেশি পড়ছে৷''
এডিকে/এসিবি (এএফপি, এপি, ডিপিএ)