1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘ঘুসের শাস্তি দিতে ব্যর্থ শীর্ষ রপ্তানিকারকরা'

১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮

বিশ্বের মোট রপ্তানির প্রায় অর্ধেক আসে যে ২২ দেশ থেকে, সেসব দেশেই ঘুস প্রদান বন্ধে নেই কার্যকর ব্যবস্থা৷ ৪৪টি দেশের উপর ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের চালানো এক জরিপে উঠে এসেছে এ তথ্য৷

https://p.dw.com/p/34jcA
Globus mit Geldscheinen
ছবি: picture-alliance/blickwinkel

অরগানাইজেশন ফর ইকনোমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড অ্যান্টি-করাপশন- ওইসিডির দুর্নীতিবিরোধী কনভেনশন কিভাবে বিভিন্ন দেশে প্রয়োগ হচ্ছে, তা যাচাই করেছে বার্লিনভিত্তিক এই দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা৷

বুধবার প্রকাশিত এ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের মোট রপ্তানির ৬৫ শতাংশই এই ৪৪টি দেশ থেকে হয়ে থাকে৷ এর মধ্যে ৪০ শতাংশ পণ্যের রপ্তানিকারক ২২টি দেশই বিদেশে ঘুস প্রদান বন্ধে ‘প্রায় কোনো ব্যবস্থাই নেয় না'৷

এই তালিকায় ওপরের দিকে আছে মেক্সিকো, ফিনল্যান্ড, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, তুরস্ক এবং রাশিয়ার নাম৷ ওইসিটডি কনভেনশনে সাক্ষর করেনি এমন দেশের মধ্যে চীন ও ভারতের নামও আছে তালিকায়৷

২৭ শতাংশ পণ্যের রপ্তানিকারক সাত দেশ উৎকোচপ্রদান বন্ধে আইন প্রয়োগে বেশ ‘সক্রিয়' বলে মনে করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল৷ এই তালিকায় সবচেয়ে বেশি পয়েন্ট পেয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ইসরায়েল, সুইজারল্যান্ড, নরওয়ে এবং ইটালি৷

‘মোটামুটিভাবে' আইন প্রয়োগ করা হয়, এমন চার দেশ হলো অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, পর্তুগাল এবং সুইডেন৷ এছাড়াও ‘সীমিতভাবে' আইন প্রয়োগ করে এমন দেশ রয়েছে ১১টি৷ এই দেশগুলো থেকে বিশ্বের ১২ দশমিক ৩ শতাংশ রপ্তানি হয়ে থাকে৷

সবার ওপরে চীন

চীন একাই বিশ্বের ১০ দশমিক ৮ শতাংশ রপ্তানি করে থাকে৷ কিন্তু ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বলছে, বিদেশে ঘুস প্রদান বন্ধে চীনই অন্য সব দেশের চেয়ে পিছিয়ে৷ বিশ্বের সবচেয়ে বড় রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে চীনের ‘বিশেষ দায়িত্ব' রয়েছে বলেও মনে করে সংস্থাটি৷

প্রতিবেদনে বলা হয়ছে, ‘‘আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রতিরোধে চীনের ভূমিকা অন্য রপ্তানিকারক দেশগুলোকেও প্রভাবিত করে৷''

ওইসিডি কনভেনশনে সাক্ষর না করলেও জাতিসংঘের দুর্নীতি বিষয়ক কনভেনশনে সাক্ষর করেছে চীন, ভারত, সিঙ্গাপুর এবং হংকং৷

‘ক্ষতিকর প্রভাব'

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের প্রধান ডেলিয়া ফেরেইরা রুবিওর মতে, ‘‘বিশ্বের মোট রপ্তানির এত বড় একটি অংশ বিনা ফলভোগে দুর্নীতি করে যাচ্ছে, যা একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়৷''

তিনি মনে করেন, ‘‘সরকারগুলো ওইসিডি এবং জাতিসংঘের কনভেনশন অনুযায়ী বিদেশি কর্মকর্তাদের ঘুস প্রদান প্রতিরোধে আইন প্রয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল৷ কিন্তু তারপরও অনেক দেশ বড় ধরনের দুর্নীতিরও কোনো তদন্ত করছে না৷ এসব দুর্নীতির ঘটনায় অনেক রাষ্ট্রীয় সংস্থা এবং জ্যেষ্ঠ রাজনীতিবিদও জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে৷ দেশগুলোর সাধারণ মানুষের উপর এর প্রভাব বেশি পড়ছে৷''

এডিকে/এসিবি (এএফপি, এপি, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য