1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চন্দ্রজয়ের স্বপ্ন

কর্নেলিয়া বোর্মান/এআই১ মার্চ ২০১৪

চাঁদে অভিযানের স্বপ্ন দেখেন আন্দ্রেয়াস হোর্নিগ৷ তরুণ এই গবেষক আগে চাঁদ এবং পৃথিবীর মধ্যকার সুবিধাজনক একটি স্থানে স্যাটেলাইট স্থাপন করতে চান৷ কাজটা সহজ নয়৷ তবে আশাবাদী হোর্নিগ৷

https://p.dw.com/p/1BHMT
Sonnenfinsternis Symbolbild
ছবি: PiLensPhoto - Fotolia.com

ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ব্যাচেলর ডিগ্রির পর আন্দ্রেয়াস হোর্নিগ এখন স্টুটগার্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা করছেন৷ এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ইউরোপের অন্যতম বড় বিমান চলাচল এবং মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রের অবস্থান৷

গবেষণাগারে ‘ফ্লাইট সিমুলেটর' ব্যবহার করে মাধ্যাকর্ষণ শূন্য পরিবেশে বস্তুর আচরণ সম্পর্কে ধারণা পান তিনি৷ আন্দ্রেয়াস হোর্নিগ বলেন, ‘‘মহাকাশ গবেষণা এখনও পর্যন্ত সীমিত পর্যায়ে হয়েছে৷ ফলে এখানে কাজের অনেক সুযোগ রয়েছে, যা আমাকে রোমাঞ্চিত করে৷ আমি সীমা পেরিয়ে যেতে চাই৷ প্রমাণ করতে চাই, এটা সম্ভব৷ তাই আমরা পরবর্তী গন্তব্য খুঁজছি, যাতে আমাদের নিজেদের সীমানা আরো বাড়িয়ে নিতে পারি৷''

চাঁদে অভিযানের স্বপ্ন দেখেন হোর্নিগ৷ চাঁদ এবং পৃথিবীর মধ্যকার একটি সুবিধাজনক স্থানে কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট স্থাপনের চেষ্টা করছেন তিনি৷ এমন একটি স্থান যেখানে যতটা সম্ভব কম জ্বালানি খরচ করে কাজ করবে স্যাটেলাইট৷

সুবিধাজনক এরকম স্থান খুঁজে পেতে প্রচুর গবেষণা প্রয়োজন৷ মহাকাশ বিশেষজ্ঞদের জন্যও এটা বড় চ্যালেঞ্জ৷ তবে হোর্নিগের কাছে বিষয়টি আকর্ষণীয়৷ তিনি বলেন, ‘‘এই খাতে গবেষণার প্রচুর সুযোগ রয়েছে৷ আমি ‘অর্বিটাল ম্যাকানিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন্স' নিয়ে কাজ করতে পারি, ‘সাব-সিস্টেম' বিন্যাস করতে পারি, যা ইঞ্জিনিয়ারিং-এর সঙ্গে সম্পৃক্ত৷ তাছাড়া যেসব কাজ ভালো লাগে তাও বেছে নিতে পারি৷''

প্রসঙ্গত, চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে রোবট পাঠানোর পরিকল্পনা আগেই নিয়েছিল ইউরোপীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইএসএ)৷ সেখানে থাকা বিভিন্ন গর্তে বরফ জমা পানি রয়েছে৷ কিন্তু চাঁদে অভিযানের এই পরিকল্পনা অপ্রত্যাশিতভাবে হঠাৎ করে স্থগিত করা হয়েছে৷ হোর্নিগ এতে কিছুটা হতাশ হয়েছেন৷ তবে এই তরুণ গবেষক সহজে আশা ছাড়তে রাজি নন৷ তাঁর কথায়, ‘‘চাঁদ খুব রোমাঞ্চকর একটা ব্যাপার৷ এটা নিয়ে গবেষণার ক্ষেত্রও অনেক বিস্তৃত৷ তাই আমি এদিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছি না৷ বরং আমি মনে করি, কেউই এটা করবে না৷ এক্ষেত্রে কিছু একটা ঠিকই হবে৷ তবে সেটা পাঁচ বা দশ বছর পরও হতে পারে৷ সময় কোনো ব্যাপার না৷''

বছরখানেক আগে তিনি একটি ‘কন্সটেলেশন' প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছেন৷ স্বেচ্ছাসেবীরা ব্যক্তিগত কম্পিউটার ব্যবহার করে এই প্ল্যাটফর্মে কাজ করতে পারেন৷ তারা স্যাটেলাইটের জন্য একটি সুবিধাজনক অবস্থান খোঁজায় সহায়তা করছেন৷

ভাগ্য ভালো থাকলে, শীঘ্রই তারা স্যাটেলাইটের সন্তোষজনক কক্ষপথ খুঁজে পাবেন৷ তখন ডিজাইনও চূড়ান্ত করা যাবে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য