1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চলে গেলেন নোবেল বিজয়ী পরিবেশবাদী নেত্রী ওয়াঙ্গারি মাথাই

২৬ সেপ্টেম্বর ২০১১

পৃথিবী থেকে চির বিদায় নিলেন আফ্রিকার প্রথম শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী নারী অধ্যাপিকা ওয়াঙ্গারি মাথাই৷ দীর্ঘদিন ক্যান্সারে ভুগে নাইরোবির হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার তিনি মৃত্যুবরণ করেন৷

https://p.dw.com/p/12gSi
ওয়াঙ্গারি মাথাইছবি: AP

১৯৪০ সালের পহেলা এপ্রিল কেনিয়ার নায়েরি শহরে জন্মগ্রহণ করেন ওয়াঙ্গারি মাথাই৷ তিনি ছিলেন প্রথম কেনীয় নাগরিক যিনি নোবেল শান্তি পদক পেয়েছিলেন৷ এছাড়া পূর্ব এবং মধ্য আফ্রিকায় তিনিই প্রথম ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জনকারী নারী৷ ১৯৭৭ সালে গ্রিন বেল্ট মোভমেন্ট নামের পরিবেশবাদী সংগঠন প্রতিষ্ঠার পর থেকে আজীবন পরিবেশ রক্ষায় সংগ্রাম করেছেন মাথাই৷ পরিবেশবাদী ও সামজসেবী নারী মাথাই-এর নেতৃত্বে তাঁর সংগঠন গোটা আফ্রিকা জুড়ে প্রায় চার কোটি বৃক্ষ রোপণ করেছে৷ কেনিয়ার বাইরে মধ্য আফ্রিকার কঙ্গো অববাহিকার বনাঞ্চলে বনায়নে এবং বৃক্ষ নিধন ঠেকাতে কাজ করেছেন ওয়াঙ্গারি মাথাই৷

এছাড়া নাগরিক ও নারী অধিকারের জন্যও আজীবন লড়াই চালিয়ে গেছেন এই সংগ্রামী নারী৷ সত্তরের দশকে কেনিয়া রেড ক্রসের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন৷ ২০০২ সালে ৯৮ শতাংশ ভোট পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন৷ ২০০৩ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত কেনিয়ার পরিবেশ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি৷ মাথাই-এর পরিবেশ রক্ষার আন্দোলন ক্রমে কেনিয়ায় গণতন্ত্র ও শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা এবং শোষণ-দুর্নীতি বিরোধী আন্দোলনে রূপ নেয়৷ এসময় সরকারের পেটুয়া বাহিনীর হাতে নির্যাতিত হয়েছেন মাথাই৷ দীর্ঘদিন কারাগারেও কাটাতে হয়েছে তাঁকে৷

অধ্যাপিকা মাথাই তাঁর পরিবেশ ও সামজবাদী কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ ২০০৪ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন৷ ২০০৫ সালে ফোর্বস এবং টাইম ম্যাগাজিনের তৈরি বিশ্বের একশ'জন প্রভাবশালী নারীর তালিকায় ছিলেন মাথাই৷ ২০০৬ সালে মাথাইকে ফ্রান্স সরকার সেদেশের সর্বোচ্চ সম্মানজনক পদক ‘লেজিও ড্য অনার' প্রদান করেন৷

উল্লেখ্য, চলতি বছরের শুরু থেকে প্রায়ই হাসপাতালে কাটাতে হয়েছে এই সংগ্রামী নারীকে৷ মৃত্যুকালে তিন সন্তান এবং বিশ্বজুড়ে অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন অধ্যাপিকা ওয়াঙ্গারি মাথাই৷ তাঁর অকাল মৃত্যুতে শোক ও সমবেদনা জানিয়েছে গ্রিন বেল্ট মোভমেন্ট সহ বিশ্ব সম্প্রদায়৷

প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ