1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মহাকাশে নভোচারী পাঠাবেন ট্রাম্প

১৭ ডিসেম্বর ২০১৭

চাঁদে আবারো নভোচারী পাঠানোর পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র৷ যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নাসাকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প৷

https://p.dw.com/p/2pRKn
নাসার তোলা ছবি
ছবি: picture-alliance/ZUMA Wire/NASA/J. Kowsky

এ সংক্রান্ত এক নির্দেশনা পত্র ‘স্পেস পলিসি ডিরেক্টিভ ১'-এ স্বাক্ষর করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ হোয়াইট হাউজে এ নিয়ে দেয়া বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘‘১৯৭২ সালের পর নভোচারীদের আবারো চাঁদে পাঠানোর এ পদক্ষেপ দীর্ঘস্থায়ী অনুসন্ধানের পথে গুরুত্বপূর্ণ এক পদক্ষেপ৷ আমরা পর্যায়ক্রমে মঙ্গলে যাবার লক্ষ্যে তহবিল গঠন করব এবং হয়ত কোনো একদিন অন্য কোথাও আরো অনেক দূরে যাব৷'' এ মহাকাশ গবেষণার জ্ঞান অন্য অনেক দিক যেমন সামরিক খাতেও প্রয়োগ করা যেতে পারে বলে মন্তব্য করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ এক্ষেত্রে বেসরকারি খাতসহ অন্য দেশগুলোর অংশীদারিত্বের প্রয়োজনীয়তার কথাও তুলে ধরে হোয়াইট হাউজ৷ কেবল চাঁদে নয়, মঙ্গলেও নভোচারী পাঠানো হতে পারে তবে এ সংক্রান্ত বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি৷

ডোনাল্ড ট্রাম্প
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পছবি: picture-alliance/dpa/E. Vucci/

এর আগে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ন্যাশনাল স্পেস কাউন্সিলের প্রধান ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স চাঁদে নতুন অনুসন্ধান চালানোর বিষয়ে কাজ করার প্রত্যয় জানিয়েছিলেন৷ অবশ্য এবারের এ পরিকল্পনার ক্ষেত্রে বাজেট বা সময় নির্ধারণ বিষয়ে এখনো কিছু জানানো হয়নি৷ নাসা জানায়, ২০১৯ সালের বাজেটে এ পরিকল্পনায় অর্থায়ন সংক্রান্ত দিকনির্দেশনা থাকবে৷ 

গত কয়েক বছরে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণার খরচ ক্রমাগত কমানো হচ্ছিল৷ ১৯৭২ সালের পর কোনো মার্কিন নভোচারী চাঁদে পা রাখেনি৷ নাসাও পৃথিবীর কাছাকাছি গ্রহগুলোতে মিশন পরিচালনায় বেশি মনোযোগ দিচ্ছিল৷ এর আগে সাবেক রাষ্ট্রপতি জর্জ এইচ ডাব্লিউ বুশ ও জর্জ ডাব্লিউ বুশ চাঁদ ও মঙ্গলে অভিযান চালানোর বিষয়ে পরিকল্পনা হাতে নিলেও আর্থিক বাধার মুখে তা বাস্তবায়িত করা সম্ভব হয়নি৷ এরপর বারাক ওবামার শাসনামলে এ বিষয়ে আবারো মনোযোগ দেয় যুক্তরাষ্ট্র৷ সেসময় ২০৩০ সালের মধ্যে মঙ্গলে পাড়ি দেবার লক্ষ্যস্থির করা হয়৷

চাঁদের তুলনায় মঙ্গলে অভিযান অনেক বেশি জটিল৷ ১৪০ মিলিয়ন মাইল দূরে কোন মানুষকে পাঠানো বর্তমান প্রযুক্তি বিবেচনায় বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ৷ সেই সাথে এর জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ সংস্থানেরও বিষয় জড়িত৷ এছাড়াও, শুন্য মাধ্যকর্ষণে এত বড় সময় থাকা নভোচারীদের শারীরিক ও মানসিক সমস্যা কারণও হতে পারে৷ 

ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিকল্পনার বিষয়ে টেকনোলজি ওয়েবসাইট আর্স টেকনিকাতে লেখা হয়, ‘‘যদি ধরেও নেয়া হয় যে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট এ পরিকল্পনা ধরেই সামনে এগোবে, তারপরও ২০৩০ সালের আগে নাসা বা তাদের সহযোগীদের চাঁদে পা রাখার ভাবনাটা বেশ কঠিন৷'' এই সরকার যদি দ্রুততার সাথে এ বিষয়ে এগিয়ে না যায়, তাহলে পরবর্তী সরকার হয়তো আবারও পরিকল্পনার গতিপথ বদলে দিতে পারে বলে মন্তব্য করে আর্স টেকনিকা৷

গত জুনে চাঁদে মানুষ পাঠানোর প্রাথমিক প্রস্তুতির বিষয়ে ঘোষণা দেয় চীন৷

আরএন/ডিজি (এএফপি, ডিপি,এপি)

প্রতিবেদনটি সম্পর্কে আপনার মন্তব্য জানান, লিখুন নীচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য