চাঁদের পথে ইসরায়েল
চাঁদে মহাকাশ যান উৎক্ষেপণ করেছে ইসরায়েল৷ শুক্রবার ফ্লোরিডার ক্যাপ ক্যানাভেরাল থেকে মহাকাশযানটি চাঁদের উদ্দেশ্যে রওনা হয়৷ ছবিতে তারই কিছু দৃশ্য...
দুটি রেকর্ড
ইতোমধ্যে চাঁদে রওনা হওয়া এই ইসরায়েলি স্পেসশিপ দুটো রেকর্ড করতে যাচ্ছে৷ প্রথমবারের মতো কোনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠান চাঁদে রকেট পাঠাচ্ছে৷ দ্বিতীয় রেকর্ডটি হচ্ছে ইহুদি রাষ্ট্রের প্রথম চন্দ্রাভিযান৷
প্রতিষ্ঠানের নাম স্পেসআইএল
ইসরায়েলের বেসরকারি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ‘স্পেসআইএল’৷ ২০১১ সালে স্পেসআইএল যাত্রা শুরু করে৷ চন্দ্রাভিযানে যাওয়ার জন্যে মহাকাশযান নির্মাণে তিন কোটি ডলার খরচ করছে প্রতিষ্ঠানটি৷
মিশন মুন অব ইসরায়েল
চাঁদে এ মহাকাশযান গবেষণার কাজে ব্যবহার হবে৷ তবে অন্য কিছু করার আগে ইসরায়েল চাঁদের মাটিতে নিজেদের একটি পতাকা স্থাপন করবে৷ মিশনটির নাম দেয়া হয়েছে ‘মুন অব ইসরায়েল’৷
বারোশিট
স্পেসআইএল রকেটটির নাম দিয়েছে ‘বারোশিট’৷ যেটি ‘মুন অব ইসরায়েল’ মিশন নিয়ে চাঁদে অবতরণ করবে৷ আর ‘বারোশিট’ শব্দটির অর্থ হিব্রু ভাষায় ‘শুরু’৷
গুগলের প্রতিযোগিতা
ইসরায়েলের প্রতিষ্ঠান স্পেসআইএলের এ কাজের শুরু হয় গুগল লুনার এক্সপ্রাইজের অংশ হিসেবে৷ কম খরচে চাঁদে মহাকাশযান পাঠানোর পুরস্কার হিসেবে বিজ্ঞানীদের ৩০ মিলিয়ন ডলার দেয়ার কথা বলেছিল গুগল৷ এ প্রতিযোগিতায় যোগদান করে স্পেসআইএল৷ প্রতিযোগিতায় কেউ না জিতলেও স্পেসআইএল নিজ উদ্যোগে চাঁদে মহাকাশযান পাঠানোর চেষ্টায় অটল থাকে৷
মহাকাশযানের বিস্তারিত
মনুষ্যবিহীন এ মহাকাশযানের ওজন ৫৮৫ কিলোগ্রাম৷ এটির আকার হচ্ছে ব্যাসার্ধে ছয় ফুট এবং উচ্চতায় চার ফুট৷ চাঁদে যেতে এ মহাকাশযানটির এক হাজার পাউন্ড জ্বালানির প্রয়োজন হবে৷ স্পেসএক্স ফ্যালকন নাইন রকেটের সহযাত্রী হয়ে মহাকাশযানটি চাঁদে অবতরণ করবে৷
চতুর্থ দেশ ইসরায়েল
এ নিয়ে ইসরায়েল চতুর্থ দেশ হিসেবে চাঁদের লক্ষ্যে মহাকাশযান উৎক্ষেপণ করলো৷ এর আগে যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন চাঁদে রকেট পাঠিয়েছিল৷
মোট খরচ ৯৫০ লাখ ডলার
২০১১ সালে স্পেসআইএল প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত ৯৫০ লাখ ডলার ব্যয় হয়েছে৷ এ প্রকল্পে সরকারি সহায়তা নেই৷ ইসরায়েলের বিলিওনেয়ার মরিস কান ব্যক্তি উদ্যোগে এর খরচ দিয়েছেন৷