চার বছর পর তুরস্ক সফরে সৌদির যুবরাজ
২৩ জুন ২০২২বুধবার আঙ্কারার প্রেসিডেন্ট হাউস চত্বরে সৌদির যুবরাজকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানান তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এর্দোয়ান। ২০১৮ সালের পর থেকে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক খারাপ হয়ে গেছিল। সালমানের সফরের ফলে সেই সম্পর্ক আবার স্বাভাবিক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সৌদিতে যুবরাজ সালমানই এখন কার্যত দেশশাসন করছেন। তিনি প্রথমে মিশর ও জর্ডন যান, তারপর তুরস্কে এসেছেন। আগামী মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই অঞ্চল সফর করবেন। তার আগে সালমানও তিনটি দেশ সফর করলেন।
গত এপ্রিলে এর্দোয়ান সৌদি আরব গেছিলেন। তখন তিনি যুবরাজের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে তুরস্কে সৌদির বিনিয়োগ নিয়েও কথা হয়।
বাইডেন জমানায় রিয়াধের সঙ্গে ওয়াশিংটনের সম্পর্কেও ফাটল ধরেছে। রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করার পর ভূ-রাজনীতি বদলে গেছে। তাই সৌদির যুবরাজ সম্পর্কে বাইডেন তার আগের মনোভাব বদল করে সৌদি সফরেও যাচ্ছেন। এই অবস্থায় সৌদিও তাদের জোট প্রসারিত করতে চাইছে। তাছাড়া খাসগজির মৃত্যু ঘিরে তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে, সেসব সরিয়ে রেখে যুবরাজও এখন বিভিন্ন দেশ সফর করছেন।
তুরস্কের আর্থিক সংকট
আর্থিক সংকটে পড়ে তুরস্কও এখন সৌদির সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে চাইছে। তারা উপসাগরীয় দেশগুলি থেকে বিনিয়োগ আনতে চায়। সেজন্যই আমিরাত, মিশর, সৌদির সঙ্গে সুসম্পর্ক চাইছেন এর্দোয়ান।
তুরস্কে লিরার দাম সমানে পড়ছে। মুদ্রাস্ফীতি ভয়ংকর জায়গায় চলে গেছে। বিশ্লেষকদের মতে, এর ফলে এর্দোয়ানের জনপ্রিয়তাতেও ধাক্কা লাগবে। তাছাড়া তুরস্কের বিদেশি মুদ্রার ভান্ডার খুব কমে গেলে এর্দোয়ানের পক্ষেও পরিস্থিতি সামলানো কঠিন হবে।
সেজন্যই উপসাগরাীয় দেশগুলির সঙ্গে সম্পর্কের দ্রুত উন্নতি চাইছেন এর্দোয়ান। সৌদির বিনিয়োগ আসলে বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয় বাড়াবে। আগামী বছর জুনে নির্বাচনের আগে এর্দোয়ানও সুবিধাজনক অবস্থায় থাকতে পারবেন।
জিএইচ/এসজি (এপি, এএফপি, রয়টার্স)