চার মহাকাশচারীকে নিয়ে স্পেস এক্সের সফল উৎক্ষেপণ
১১ নভেম্বর ২০২১গত মাসের শেষেই মহাকাশে যাওয়ার কথা ছিল ফ্যালকন নাইন রকেটের। একাধিক সমস্যার কারণে উৎক্ষেপণের সময় প্রায় দুই সপ্তাহ পিছিয়ে যায়। অবশেষে বৃহস্পতিবার তার সফল উৎক্ষেপণ হয়। ২২ ঘণ্টা যাত্রা করে মহাকাশযানটি স্পেস স্টেশনের সঙ্গে যুক্ত হবে। মহাকাশচারীরা সেখানে গবেষণা চালাবেন। স্পেস এক্সের উদ্যোগে মহাকাশযানটিকে স্পেস স্টেশনে পাঠানো সম্ভব হলো।
মহাকাশযানে চার মহাকাশচারী আছেন। তাদের মধ্যে একজন জার্মান। তিনি ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সির কর্মী। ৫১ বছরের ম্যাথিয়াস মৌরার এই দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। বাকি তিনজনই নাসার। ফ্লাইট কম্যান্ডার রাজা চারির বয়স ৪৪। মিশন পাইলট ৬১ বছরের টম মার্শবার্ন, মিশন স্পেশালিস্ট ৩৪ বছরের কায়লা ব্যারন। আগামী বেশ কিছুদিন তারা স্পেস স্টেশনে বসে মহাকাশ নিয়ে গবেষণা করবেন।
পৃথিবী থেকে চারশ কিলোমিটার দূরে মহাকাশে আছে নাসার স্পেস স্পেস স্টেশন। এখন সেখানে তিনজন মহাকাশচারী আছেন। বিবিধ বিষয় নিয়ে তারা গত প্রায় এক বছর ধরে সেখানে কাজ করছেন। এবার তাদের সঙ্গে যোগ দেবেন নতুন চার সদস্য।
গত ৩১ অক্টোবর ফ্যালকন নাইনের মহাকাশে পাড়ি দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার জন্য তা সম্ভব হয়নি। দলের এক সদস্যের শরীর খারাপ হয়েছিল বলেও জানা গেছে। তবে কে অসুস্থ হয়েছিলেন, তার কী হয়েছিল তা জানায়নি স্পেস এক্স এবং নাসা। বস্তুত, নাসার সঙ্গে পাবলিক-প্রাইভেট মডেলে কাজ করে স্পেস এক্স। বৃহস্পতিবারের সফল উৎক্ষেপণ স্পেস এক্সের মুকুটে নতুন পালক।
এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি)