চার সন্দেহভাজন নারী জঙ্গি আটক
১৬ আগস্ট ২০১৬গত পহেলা জুলাই পাঁচ যুবক ঢাকার গুলশানে একটি অভিজাত রেস্তোরাঁয় হামলা চালায়৷ তথাকথিত জঙ্গি গোষ্ঠী ‘ইসলামিক স্টেট' সেই হামলার দায় স্বীকার করেছে, যদিও সরকার মনে করে, সেটা বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি গোষ্ঠী জেএমবিই ঘটিয়েছে৷
গুলশানে হামলাকারীদের মধ্যে তিনজন ধনী পরিবারের সন্তান৷ হামলার কয়েকমাস আগে থেকে তারা তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে ফেলে৷ পুলিশ মনে করে, জেএমবি আন্তর্জাতিক জঙ্গি গোষ্ঠী ‘ইসলামিক স্টেটের' বশ্যতা স্বীকার করে জঙ্গি তৎপরতা বাড়ানোয় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করছে৷
গতরাতে চার নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে অপর এক সন্দেহভাজন জঙ্গির দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে, যাকে গতমাসে গ্রেপ্তার করে পুলিশ৷ ব়্যাবের মুখপাত্র মিজানুর রহমান ভুঁইয়া এই বিষয়ে বলেন, ‘‘গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে তিনজন একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী৷ অপরজন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের একজন ইন্টার্ন ছিলেন৷''
গুলশান হামলার পর থেকে এখন অবধি বেশ কয়েকজন সন্দেহভাজন জঙ্গিকে আটক করা হয়েছে, যাদের মধ্যে সাতজন নারী৷ এছাড়া গত ২৬ জুলাই ঢাকার কল্যাণপুরে পুলিশ নয় সন্দেহভাজন জঙ্গিকে হত্যা করে, যারা গুলশানের মতো আরো হামলার পরিকল্পনা করছিল বলে সন্দেহ করা হচ্ছে৷
উল্লেখ্য, গত কয়েকবছরে বাংলাদেশে বেশ কয়েকজন নাস্তিক ব্লগার, প্রকাশক এবং মুক্তমনাকে হত্যা করা হয়েছে৷ পৃথক পৃথকভাবে সেসব হত্যাকাণ্ডের অধিকাংশের দায় স্বীকার করেছে জঙ্গি গোষ্ঠী আল-কায়েদা এবং ইসলামিক স্টেট৷ তবে বাংলাদেশের পুলিশ এবং সরকার বরাবরই বলে আসছে, দেশে কোনো আন্তর্জাতিক জঙ্গি গোষ্ঠীর তৎপরতা নেই, বরং স্থানীয় জঙ্গিরাই বিভিন্ন হত্যাকাণ্ড ঘটাচ্ছে৷
এআই/এসিবি (রয়টার্স, এএফপি)