1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চার সন্দেহভাজন নারী জঙ্গি আটক

১৬ আগস্ট ২০১৬

নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবির সদস্য সন্দেহে চার নারীকে আটক করার কথা জানিয়েছে বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনী৷ গুলশানে ২২ ব্যক্তি হত্যার ঘটনার জন্য এই সংগঠনকে দায়ী মনে করে সে দেশের সরকার৷

https://p.dw.com/p/1Jj5C
ফাইল ফটোছবি: picture-alliance/dpa

গত পহেলা জুলাই পাঁচ যুবক ঢাকার গুলশানে একটি অভিজাত রেস্তোরাঁয় হামলা চালায়৷ তথাকথিত জঙ্গি গোষ্ঠী ‘ইসলামিক স্টেট' সেই হামলার দায় স্বীকার করেছে, যদিও সরকার মনে করে, সেটা বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি গোষ্ঠী জেএমবিই ঘটিয়েছে৷

গুলশানে হামলাকারীদের মধ্যে তিনজন ধনী পরিবারের সন্তান৷ হামলার কয়েকমাস আগে থেকে তারা তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে ফেলে৷ পুলিশ মনে করে, জেএমবি আন্তর্জাতিক জঙ্গি গোষ্ঠী ‘ইসলামিক স্টেটের' বশ্যতা স্বীকার করে জঙ্গি তৎপরতা বাড়ানোয় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করছে৷

গতরাতে চার নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে অপর এক সন্দেহভাজন জঙ্গির দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে, যাকে গতমাসে গ্রেপ্তার করে পুলিশ৷ ব়্যাবের মুখপাত্র মিজানুর রহমান ভুঁইয়া এই বিষয়ে বলেন, ‘‘গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে তিনজন একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী৷ অপরজন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের একজন ইন্টার্ন ছিলেন৷''

গুলশান হামলার পর থেকে এখন অবধি বেশ কয়েকজন সন্দেহভাজন জঙ্গিকে আটক করা হয়েছে, যাদের মধ্যে সাতজন নারী৷ এছাড়া গত ২৬ জুলাই ঢাকার কল্যাণপুরে পুলিশ নয় সন্দেহভাজন জঙ্গিকে হত্যা করে, যারা গুলশানের মতো আরো হামলার পরিকল্পনা করছিল বলে সন্দেহ করা হচ্ছে৷

উল্লেখ্য, গত কয়েকবছরে বাংলাদেশে বেশ কয়েকজন নাস্তিক ব্লগার, প্রকাশক এবং মুক্তমনাকে হত্যা করা হয়েছে৷ পৃথক পৃথকভাবে সেসব হত্যাকাণ্ডের অধিকাংশের দায় স্বীকার করেছে জঙ্গি গোষ্ঠী আল-কায়েদা এবং ইসলামিক স্টেট৷ তবে বাংলাদেশের পুলিশ এবং সরকার বরাবরই বলে আসছে, দেশে কোনো আন্তর্জাতিক জঙ্গি গোষ্ঠীর তৎপরতা নেই, বরং স্থানীয় জঙ্গিরাই বিভিন্ন হত্যাকাণ্ড ঘটাচ্ছে৷

এআই/এসিবি (রয়টার্স, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান