সিরীয় কূটনীতিক বহিষ্কার
৯ ফেব্রুয়ারি ২০১২জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডো ভেস্টারভেলে বৃহস্পতিবার নিজে ঘোষণা করেন, যে ৪ জন সিরীয় কূটনীতিককে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ তিন দিনের মধ্যে তাদের জার্মানি ছেড়ে চলে যেতে হবে৷ তিনি এপ্রসঙ্গে উল্লেখ করেন, যে জার্মানিতে সিরিয়ার বিরোধী পক্ষের প্রতিনিধিদের উপর গুপ্তচরবৃত্তির দায়ে দুই দিন আগেই বার্লিনে ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল৷ বার্লিনে সিরিয়ার রাষ্ট্রদূতকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়েছিল৷ এই ধরণের কার্যকলাপের জন্য জার্মানি সরাসরি তার কাছে প্রতিবাদ জানিয়েছে৷ জার্মান সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে সিরিয়ার অন্যতম বিরোধী গোষ্ঠী এসএনসি৷ উল্লেখ্য, জার্মানিতে প্রায় ৩২,০০০ সিরীয় নাগরিক বসবাস করে৷
সিরিয়ার পরিস্থিতি
প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের অনুগত বাহিনী হোমস শহরে তাদের দমন নীতি চালিয়ে যাচ্ছে৷ বৃহস্পতিবার দিনের শুরুতেই কমপক্ষে ২৪ জন নিহত হয়েছে বলে বিরোধীরা দাবি করছে৷ ফলে শনিবার থেকে সেখানে নিহতের সংখ্যা ৪০০ ছাড়িয়ে গেল৷ দক্ষিণে দারা শহরে বিরোধীদের পাল্টা হামলায় কমপক্ষে ৭ জন সৈন্য নিহত হয়েছে বলেও দাবি করা হচ্ছে৷
আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক তৎপরতা
কাতারে সিরিয়ার বিরোধী জাতীয় পরিষদের ৩ দিনের আলোচনা শুরু হয়েছে৷ এদিকে জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন আরব লিগ'এর সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে সিরিয়ায় এক পর্যবেক্ষক দল পাঠাতে চান৷ আরব লিগের মহাসচিব নবিল আল আরাবিও নীতিগতভাবে এই উদ্যোগের পক্ষে৷ নিরাপত্তা পরিষদে ভেটোর কারণে বান চীন ও রাশিয়ার কড়া সমালোচনা করেছেন৷ সিরিয়ায় আসাদ প্রশাসনের চরম দমন নীতি সত্ত্বেও রাশিয়া ও চীন যেভাবে সেদেশের সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছে, আরব জগত সব বিশ্বের অনেক দেশ তার জোর সমালোচনা করে চলেছে৷ তবে নিজেদের ভাবমূর্তির উন্নতি করার চেষ্টা চালাচ্ছে এই দুই দেশ৷
রাশিয়ার পর এবার চীনও মধ্যস্থতাকারী হিসেবে আসাদ প্রশাসন ও বিরোধীদের মধ্যে আলোচনার চেষ্টা শুরু করেছে৷ সিরীয় বিরোধী গোষ্ঠী এনসিবি'র সদস্যরা পূর্বনির্ধারিত সফরে বেইজিং'এ এসেছেন বলে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে৷ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, এই গোষ্ঠী চায়, সিরিয়ায় অচলাবস্থা কাটাতে চীন আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করুক৷ এদিকে সিরিয়ার বিরোধীদের একাংশ শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর রাশিয়ার বিরুদ্ধে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে৷ তাদের এক ফেসবুক পাতায় মন্তব্য করা হয়েছে, ‘রাশিয়া তার বিমান, ট্যাংক ও ভেটো দিয়ে আমাদের সন্তানদের হত্যা করছে৷''
প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক