কারাগারে চার ব্লগার
১৮ এপ্রিল ২০১৩তিনি জানান, তাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই বলেই প্রথমে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার করে এখন তথ্য প্রযুক্তি আইনে হাস্যকর মামলা দেয়া হয়েছে৷
চারজন ব্লগার আসিফ মহীউদ্দিন, মশিউর রহমান বিপ্লব, রাসেল পারভেজ এবং সুব্রত অধিকারীর রিমান্ড শেষে আদালত তাদের জামিন দেয়নি৷ তাদের জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে৷ পুলিশ বুধবার আদালতে দেয়া প্রতিবেদনে বলেছে যে তাদের বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলা হয়েছে৷ এছাড়া, প্রাথমিক তদন্তে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের প্রমাণ পাওয়া গেছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ৷
তবে তাদের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া ডয়চে ভেলেকে জানান, পুলিশের এই অভিযোগ ভিত্তিহীন এবং কাল্পনিক৷ পুলিশ আদালতকে ব্যঙ্গচিত্র এবং কটুক্তির কথা বলেছে৷ কিন্তু এ নিয়ে তারা কোনো কাগজ-পত্র বা সেসব ব্যঙ্গচিত্র বা লেখার অনুলিপি দাখিল করতে পারেনি৷ আর ব্যঙ্গচিত্র যদি থেকেই থাকে, তা আদতে কার আঁকা – ব্লগার না অন্য কারুর – তাও জানাতে পারেনি পুলিশ৷
তিনি বলেন, পুলিশের কাছে আদৌ কোনো প্রামাণ নেই৷ থাকলে ১৭ দিন আগে তাদের ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার করা হতো না৷ এছাড়া, এই ১৭ দিনেও কোনো প্রমাণ পায়নি তারা৷ তাই প্রমাণ ছাড়া কাহিনি সাজিয়েছে৷
ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় জানান, পুলিশ একটি সমীরকরণ সাজিয়েছে৷ আর তা হলো ব্লগার মানে নাস্তিক, নাস্তিক মানে ধর্মের অবমাননাকারী৷ তার ওপর ধর্মের অবমাননা মানে ধর্মীয় অনভূতিতে আঘাতকারী৷ তিনি বলেন, চারজন ব্লগার যেসব লেখা লিখেছেন তাতে কোথাও ধর্মের অবমাননা হয়নি৷ কাউকে বা কোনো গোষ্ঠীকে খুশি করতে তাদের হয়রানি করা হচ্ছে৷ এটা মানবাধিকারের লঙ্ঘন৷
তিনি জানান, এই মামলার বিচারের জন্য একটি বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠনের প্রক্রিয়া চলছে৷ চারজন ব্লগারের জামিনের জন্য সেই ট্রাইব্যুনালে ফের আবেদন করা হবে৷ তিনি মনে করেন, এই মামলার বিচারে চারজন ব্লগার নির্দোষ প্রমাণিত হবেন৷
ব্লগার অসিফের বড় বোন অধ্যাপক ড. জাহেদা মেহেরুন্নেসাও ডয়চে ভেলেকে বলেন যে, তারা আইনী লড়াই চালিয়ে যাবেন৷ তাদের আশা এর মাধ্যমে আসিফ নির্দোষ প্রমাণিত হবেন৷ তিনি বলেন, পুলিশ প্রতিবেদনে যেসব তথ্য দেয়া হয়েছে তাতে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ প্রমাণিত হয় না৷