1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চীনে কফির জয়যাত্রা

ফ্রাঙ্ক সিরেন/আরবি৪ আগস্ট ২০১৪

চীনারা চা পানকারী হিসাবে পরিচিত হলেও কফি পানের দিকেও ঝুঁকছে ইদানীং৷ অ্যামেরিকান কফি হাউস স্টারবাকস-এর রেকর্ড পরিমাণ লাভ দেখে সেটাই বোঝা যায়৷

https://p.dw.com/p/1Cnrp
Starbucks Filiale in Shanghai
ছবি: Oliver Lang/AFP/Getty Images

১৫ বছর আগে অ্যামেরিকান কফি হাউস স্টারবাকস-এর শাখা খোলা হয় বেইজিং-এ৷ তখন অনেকেই মনে করেছিল শুধু অ্যামেরিকান কিংবা বিদেশিদের কাছেই সমাদর পাবে এটি৷

একে তো কফির তিতা স্বাদে চীনারা অভ্যস্ত নয়, তার ওপর দামও আকাশচুম্বী, তাই সনাতন টি-হাউস থেকে তাদের সরানো যাবে না – এমনটি ভাবা হয়েছিল প্রথম দিকে৷

সংশয় দূর হয় দ্রুত

স্টারবাকস-এর কর্মকর্তারাও তাদের দোকানটি চলবে কিনা সে ব্যাপারে নিশ্চিত ছিলেন না৷ চা পানকারী চীনারা কাগজের কাপে কাপুচিনো ও লাটে মাখিয়াটোর প্রতি আগ্রহ দেখাবে কিনা সেটা বোঝা যাচ্ছিল না৷ কিন্তু এই সংশয় দ্রুতই দূর হয়ে যায়৷

১৫টি শাখা প্রতিষ্ঠান নিয়ে যাত্রা শুরু হলেও এখন স্টারবাকস-এর ৬০০-র ওপর শাখা চীনের নানা স্থানে ছড়িয়ে রয়েছে৷ অ্যামেরিকার পর চীনই এখন স্টারবাকস-এর দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বাজার৷ এজন্য আগামী বছরের মধ্যে স্টারবাকস তার শাখা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা দ্বিগুণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷

স্টারবাকস-এর এই সাফল্যের কারণ হিসাবে ব্যাখ্যা দেওয়া যায় এভাবে, চীনের বড় বড় শহরের বাসিন্দাদের কাছে কফি অনেক আগেই লাইফস্টাইলের অংশে পরিণত হয়েছে৷

কফির স্বাদে সুখানুভূতি

উচ্চমধ্যবিত্তরা কফির স্বাদে এক ধরনের সুখানুভূতি খুঁজে পান৷ ইতোমধ্যে দক্ষিণ পূর্ব চীনে কফি উৎপাদনও শুরু হয়েছে৷

গত বছর চীনের মহাকাশযান শ্যেনজুতে প্রতীক স্বরূপ একটি চা-পাতার পরিবর্তে কফির বীজ সাথে দেওয়া হয়েছিল৷ চীনা কর্তৃপক্ষ কফিকে শুধু পশ্চিমের হাতে ছেড়ে দিতে চান না৷

পশ্চিমের যে-কোনো কিছুই আধুনিক ও চটকদার, এরকমই মনে করা হয় চীনে৷ তাই স্টারবাকসও তার গরম পানীয় অন্যান্য দেশের চেয়ে উচ্চ মূল্যেই বিক্রি করে চীনে৷ এক কাপ সাধারণ কফির দাম প্রায় চার ইউরো৷

স্টারবাকস-এর প্রতি সংহতি

তবে পশ্চিমি জীবানুভূতির জন্য উঁচু দামও যে কোনো বাধা নয়, তা বুঝতে পেরেছে চীনের সরকারি টেলিভিশন সিসিটিভি-ও৷ এক রিপোর্টে এই টিভি চ্যানেল স্টারবাকস-এর কফির গলাকাটা দামের সমালোচনা করায় উল্টো প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়৷ ব্লগাররা স্টারবাকস-এর পক্ষ নিয়েই মন্তব্য করেন৷ চীনের বড় বড় শহরে স্টারবাকসকে তার প্রতিষ্ঠানের জন্য মোটা অংকের ভাড়া গুণতে হয় এই যুক্তি দেন তাঁরা৷ অবশ্য ম্যানহাটানের চেয়ে বেইজিং-এ ভাড়া বেশি কিনা সে ব্যাপারে প্রশ্ন উঠতে পারে৷

প্রতিযোগীরাও বসে নেই

তবে স্টারবাকস ভবিষ্যতেও তার সাফল্য ধরে রাখতে পারবে কিনা, তা নিশ্চিত করে বলা যায় না৷ কেননা প্রতিযোগীরাও বসে নেই৷ ইতোমধ্যে ব্রিটেনের ‘কোস্টা কফি' চীনে ৩০০টি শাখা খুলেছে৷ অন্যদিকে দক্ষিণ কোরীয় ‘ক্যাফে বেনে' আগামী বছরের মধ্যে ৩,০০০ শাখা খুলবে বলে ঘোষণা দিয়েছে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য