1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আবা’কে নিয়ে জাদুঘর

১২ মে ২০১৩

চিকি চিতা, মাম্মা মিয়া, ওয়াটারলু, এসওএস – কোনটা রেখে কোনটা বলবো৷ প্রতিটি গানই আজও সারা বিশ্বের সংগীতপ্রেমীদের মাতিয়ে রাখে৷ তাই গানগুলোর স্রষ্টা সুইডিশ ব্যান্ড ‘আবা’-র জাদুঘর নিয়ে তোলপাড়ে আশ্চর্যের কিছু নেই৷

https://p.dw.com/p/18W7Q
ছবি: Getty Images

সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে উদ্বোধন হয়েছে এই জাদুঘরের৷ আবা-র বিপুল জনপ্রিয়তার কারণে সারা বিশ্ব থেকে পর্যটকরা যাবেন সেখানে, এমনটাই আশা কর্তৃপক্ষের৷

আবা-র সাফল্যের কাহিনি

সত্তরের দশকে ইউরোপের সংগীত প্রতিযোগিতা ‘ইউরোভিশন'-এ সাফল্যের মধ্য দিয়ে শুরু৷ এরপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি আবা-কে৷ একের পর এক জনপ্রিয় গান উপহার দিয়ে গেছে এই দলটি৷ শুধু তাদের গানের উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে ব্লকবাস্টার মুভি ‘মাম্মা মিয়া'৷ আর তাতে অভিনয় করেছেন মেরিল স্ট্রিপ থেকে শুরু করে পিয়ার্স ব্রসনান, কলিন ফার্থের মতো অভিনেতারা৷ সারা বিশ্বে আবা’র বিক্রিত অ্যালবামের সংখ্যা ৩৭৮ মিলিয়নেরও বেশি৷

Schweden - ABBA Museum in Stockholm
আবা’র সদস্যদের সঙ্গে স্টেজে গান গাওয়ার সুযোগ পাওয়া যাবে!ছবি: Getty Images

যা রয়েছে জাদুঘরে

একটি ঘরে আবা’র সঙ্গে লাইভ পারফরমেন্সের সুযোগ রাখা হয়েছে! না বাস্তবে নয়, কম্পিউটার সিমুলেশনের মাধ্যমে সম্ভব হবে সেটা৷ আবা’র তার শিল্পীর সঙ্গে আপনি স্টেজে গান গাইবেন৷ তারপর সেটা ডাউনলোড করে নিয়ে যেতে পারবেন সঙ্গে করে৷

অন্য ঘরে রয়েছে সত্তরের দশকের একটা টেলিফোন৷ অ্যাবার বিখ্যাত গান ‘রিং রিং'-এর নামে রাখা এই রুমের টেলিফোনের নম্বরটা জানেন শুধু আবা’র চার সদস্য৷ মাঝেমধ্যে হয়ত তারা সেটাতে ফোন করে আগত দর্শকদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে পারেন৷

এছাড়া বাকি ঘরগুলোতে রয়েছে কনসার্টে পরা পোশাক, কিছু ইন্সট্রুমেন্ট, তাদের রেকর্ডিং স্টুডিও ও ড্রেসিং রুমের রেপ্লিকা ইত্যাদি৷

জাদুঘরে আগতরা কী বলছেন

জাদুঘরটি উদ্বোধনের দিন সেখানে উপস্থিত ছিলেন ৪৬ বছর বয়সি হেনরিক আহলেন৷ সুইডিশ এই নাগরিক এখন থাকেন ব্রিটেনে৷ শুধু জাদুঘর উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে তিনি প্রথমদিনই হাজির হন সেখানে৷ তিনি বলেন, ‘‘আবা যখন ইউরোভিশন জেতে তখন আমার বয়স ছিল আট৷ তারপর থেকেই আবা আমার সারা জীবনের সঙ্গী৷''

Schweden - ABBA Museum in Stockholm
কনসার্টে পরা আবা’র পোশাকগুলোছবি: Getty Images

৩১ বছরের আর্জেন্টিনার এক তরুণী বলছেন, শুধুমাত্র আবা’র জন্যই তিনি সুইডিশ ভাষা শিখেছেন৷ ‘‘আমার দাদি আমাকে ছোটবেলায় আবা’র গানের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়৷ জাদুঘরের যে ঘরে কনসার্টের পোশাকগুলো রয়েছে শুধু সেখানেই আমি সারাটা দিন কাটিয়ে দিতে পারবো৷''

আবা’র সদস্যরা

বিবাহিত দুই দম্পতি – বিয়োন উলবেওস ও আগনেটা ফেলসকোগ এবং বেনি আন্দাশোন ও আনি-ফ্রিড ল্যুঙস্টাট – এই চারজন ছিলেন আবা’র সদস্য৷ একসঙ্গে তাঁরা শেষ কনসার্ট করেন ১৯৮২ সালে৷ এর এক বছর পরই দল ভেঙে যায়৷ ভেঙে যায় তাদের সম্পর্কও৷

উলবেওস বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, জাদুঘরে দর্শণার্থীরা আবা’র অনেক অজানা তথ্যও জানতে পারবেন৷ কীভাবে আবা ভেঙে গেলো৷ তারা নিজেরাও কীভাবে আলাদা হয়ে গেলেন এসব বিষয় জানা যাবে জাদুঘরে গেলে৷

তবে আর কখনো তাদের এক হওয়া সম্ভব নয় বলে ২০০৮ সালে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন উলবেওস৷ ‘‘আমরা চাই শ্রোতারা আমাদের সেই সময়কার আবা’র সদস্য হিসেবেই মনে রাখুক৷''

জেডএইচ/ডিজি (এএফপি)