1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘চীন করোনা ভাইরাস তৈরি করেছে’

১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০

চীনের গবেষণাগারে করোনা ভাইরাস তৈরি হয়েছে। দাবি করলেন এক চীনা ভাইরোলজিস্ট। জানালেন, তাঁর কাছে তথ্য প্রমাণ আছে।

https://p.dw.com/p/3iTXS
ছবি: Ai Weiwei Studio

ট্রাম্প এই অভিযোগ একাধিকবার করেছেন। পৃথিবীর আরও কয়েকটি দেশ করোনার জন্য প্রাথমিক ভাবে চীনকে দায়ী করেছিল। এ বার চীনেরই এক বিজ্ঞানী দাবি করলেন, করোনা ভাইরাস প্রাকৃতিক নয়। চীন গবেষণাগারে তা তৈরি করেছে। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের সময় উহানে নিউমোনিয়া নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে এমনই তথ্য তাঁর হাতে এসেছে বলে জানিয়েছেন ডক্টর লি মেং নামের ওই বিজ্ঞানী। তাঁর দাবি, গোটা বিষয়টি চীন ধামা চাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও এ বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে।

ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে দুইবার উহানে নিউমোনিয়ার গবেষণার কাজে গিয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন মেং। যুক্তরাজ্যের একটি সংবাদ সংস্থাকে সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, গবেষণা করতে গিয়েই তিনি দেখতে পান, করোনার সংক্রমণ প্রাকৃতিক নয়। তা গবেষণাগারে তৈরি। তাঁর দাবি, চীনের সেনার গবেষণাগারে দুইটি করোনা ভাইরাস ছিল। সিসি৪৫ এবং জেডএক্সসি ৪১ নামের ওই দুইটি করোনা ভাইরাস থেকেই নোবেল করোনা ভাইরাস তৈরি করা হয়েছে। পরীক্ষাগার থেকেই তা বাইরে ছড়িয়ে পড়ে।

করোনা কি ল্যাবে তৈরি?

পেশায় ভাইরোলজিস্ট মিং হংকং স্কুল অফ পাবলিক হেলথে পড়াশোনা করেছেন। করোনার বিষয়ে তথ্য পেয়েই তিনি তাঁর সুপারভাইসারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন বলে দাবি করেছেন মিং। তাঁর সুপারভাইসার একজন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সদস্য। কিন্তু মিংয়ের অভিযোগ, সুপারভাইজার এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আরও এক আধিকারিক তাঁকে বলেন, এ সব বিষয় নিয়ে বাইরে কথা না বলতে। গবেষণাও থামিয়ে দিতে। নইলে ফল ভালো হবে না। তাঁকে বেপাত্তা করে দেবে চীনের প্রশাসন।

মিংয়ের দাবি, এর পরেই দেশ থেকে পালিয়ে যান তিনি। আপাতত যুক্তরাজ্যে আছেন। ভাইরোলজিস্ট জানিয়েছেন, বিশ্বের বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ বিজ্ঞানীর সঙ্গে এ বিষয়ে নতুন করে গবেষণা শুরু করেছেন তিনি। গোটা বিশ্বকে তিনি এ বিষয়ে আরও অনেক তথ্য দেবেন। একজন চীনা ইউটিউবারের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছিলেন মিং। তথ্য যাতে সকলের কাছে পৌঁছয়, তার জন্য ওই ইউটিউবারকে যোগাযোগ করেছেন বলে মিং জানিয়েছেন। মিংয়ের দাবি, তাঁর কাছে আরও অনেক তথ্য আছে। সময় মতো সেই সব কিছুই তিনি দেখাবেন। 

বিশেষজ্ঞদের একাংশের বক্তব্য, মিং যা বলছেন, তা যদি ঠিক হয়, তা হলে ট্রাম্পের বক্তব্যকেই সমর্থন করতে হয়। দীর্ঘ দিন ধরে ট্রাম্প দাবি করছেন, উহানের গবেষণাগারে করোনা ভাইরাস তৈরি হয়েছিল এবং সেখান থেকেই তা ছড়িয়েছে। এ বিষয়ে তাঁর কাছে তথ্যপ্রমাণ আছে বলেও দাবি করেছিলেন ট্রাম্প।

এসজি/জিএইচ (বিবিসি, এপি)