শুরু হলো সাপের বর্ষ
১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৩চীনা নববর্ষ হলো চন্দ্রবর্ষের সূচনা, যাকে বলে লুনার ইয়ার৷ ঈদ-দুর্গোৎসবের মতোই, এই উৎসবে মানুষ যেতে চায় দেশের বাড়িতে, স্বজনদের কাছে৷ আর বাজি পোড়ানো হয় ভূতপ্রেত তাড়ানোর জন্য৷
রবিবার সকালে কিন্তু বেইজিং-কে দেখলে চেনার উপায় ছিল না, কেননা বেইজিং-এর দু'কোটি বাসিন্দাদের প্রায় অর্ধেক দেশ ও গ্রামের বাড়িতে ফিরেছে নববর্ষ উপলক্ষ্যে, জানিয়েছে সরকারি দৈনিক চায়না ডেইলি৷
আরো একটা পরিবর্তন এবার নজর করার মতো: নববর্ষের আগে বাজি কেনার ধুম কমে গেছে ৩৭ শতাংশ৷ দৃশ্যত বেইজিং-এর বাসিন্দারা ‘ধোঁয়াশার' পরিমাণ আর বাড়াতে চাননি৷ এটা হল বেইজিং নিউজ-এর খবর৷
ইংরিজি নববর্ষের মতোই সরকারি সিসিটিভি নববর্ষের আগের সন্ধ্যায় ‘গালা শো'-এর আয়োজন করেছে, যে শো-তে সেলিন ডিওন ম্যান্ডারিন চাইনিজ ভাষায় গান গেয়েছেন৷ সেলিন ডিওন ‘‘জুঁইফুল'' শীর্ষক একটি লোকগীতি স্থানীয় আইডল সং জুয়িং-এর সঙ্গে ডুয়েটে গেয়েছেন৷ তারপর অবশ্যই তাঁকে টাইট্যানিক ছবির সেই সুবিখ্যাত মাই হার্ট উইল গো অন গানটি গাইতে হয়৷
সাপের বর্ষ, কিন্তু সাপ বলতে তো শুধু বিষধর সর্প নয়৷ চীনে সাপকে মনে করা হয় জ্ঞান, সমৃদ্ধি এবং দীর্ঘায়ুর প্রতীক৷ তবুও সাপ ঠিক ড্র্যাগনের মতো অতোটা শুভ কিংবা কল্যাণকর নয়৷
চীনা নববর্ষের একটা রাজনৈতিক দিক থাকাটা আশ্চর্য নয়৷ একদিকে যেমন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী জুলিয়া গিলার্ড দেশের ন'লাখ চীনা বংশোদ্ভূতদের ‘সুস্থ ও সমৃদ্ধ সর্পবর্ষের' কামনা জানিয়েছেন, তেমনই পূর্ব চীন সাগরে বিতর্কিত দ্বীপগুলির কাছে চীনের টহলদারি জাহাজগুলিতেও নববর্ষ উদযাপিত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে৷ চীন ও জাপানের মধ্যে বিতর্কিত এই দ্বীপগুলির নাম জাপানি ভাষায় সেনকাকু এবং চীনা ভাষায় দিয়াওউ৷
তবে চীনে ‘টোকিও বিস্ফোরণ' নামধারী একটি পটকা নিষিদ্ধ করা হয়েছে বলে যে খবর পাওয়া গিয়েছিল, তা সঠিক নয় বলে জানিয়েছে এএফপি সংবাদ সংস্থা৷ শনিবারেও নাকি দক্ষিণ বেইজিং-এর কয়েকটি দোকানে ‘টোকিও বিস্ফোরণ' কিনতে পাওয়া যাচ্ছিল, দেখেছেন এএফপি-র সংবাদদাতা৷
এসি/এআই (এএফপি, ডিপিএ)