1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘চীনে মুসলিম সংখ্যালঘুরা রাজনৈতিক অনুশাসনের কবলে'

১০ সেপ্টেম্বর ২০১৮

চীনের শিনচিয়াংয়ে উইগুরদের ওপর চলমান দমন অভিযানে এই মুসলিম জনগোষ্ঠীর সদস্যদের হয়রানিমূলক আটক, ধর্মীয় রীতি-নীতি পালনে বাধা এবং বলপ্রয়োগের মাধ্যমে ‘রাজনৈতিক অনুশাসন' মেনে চলতে বাধ্য করছে অভিযোগ করেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ৷

https://p.dw.com/p/34bSp
China Xinjiang Uiguren
ছবি: Reuters/T. Peter

সোমবার মানবাধিকার সংস্থাটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিভিন্ন শিবিরে আটক উইগুর ও অন্যান্য মুসলমিদের ইসলামী রীতিতে পরস্পরকে সম্ভাষণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে, তাঁদের বাধ্যতামূলকভাবে মান্দারিন ভাষা শিখতে হচ্ছে এবং কর্তৃপক্ষের ঠিক করে দেওয়া গান গাইতে হচ্ছে৷

বন্দি শিবিরে কাটিয়ে আসা পাঁচজনের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে এইচআরডাব্লিউ৷ 

প্রতিবেদনে বলা হয়, কাজাখস্তান, তুরস্ক ও ইন্দোনেশিয়ার মতো ২৬টি ‘স্পর্শকাতর' দেশে আত্মীয়-স্বজন থাকা উইগুরদের ‘টার্গেট' করছে কর্তৃপক্ষ৷ তাদের আটকের পর কোনো আইনি প্রক্রিয়া ছাড়াই বেশ কয়েক মাস বন্দি করে রাখা হচ্ছে৷

বন্দি শিবিরে নির্দেশনা না মানলে খেতে না দেওয়া, ২৪ ঘণ্টার মতো দাঁড় করিয়ে রাখা এবং একাকী নির্জন কারাবাসের মতো শাস্তি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে৷

স্বায়ত্তশাসিত উইগুর অঞ্চলে ‘ইসলামের প্রতি বিদ্বেষ' ও কমিউনিস্ট পার্টির প্রতি আনুগত্য আনতে লাখ লাখ উইগুর মুসলিমকে ‘রাজনৈতিক শিবিরে' জোর করে আটকে রাখা হয়েছে বলে গত আগস্টে অভিযোগ করে জাতিসংঘের মানবাধিকার প্যানেল৷

তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে বেইজিং৷ তারা বলছে, এসব ক্যাম্পে ‘রাজনৈতিক শিক্ষা' দেওয়া হয় না, বরং, এই অঞ্চলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং সোশ্যাল মোবিলিটি বৃদ্ধিতে সরকারের উদ্যোগের অংশ হিসেবে তাঁদের কারিগরি শিক্ষাকেন্দ্র চালু করা হয়েছে৷

শিনচিয়াংকে ইসলামপন্থি উগ্রবাদী ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হুমকি মোকাবেলা করতে হচ্ছে বলে চীনের দাবি৷ তাদের ভাষ্যমতে, ওই অঞ্চলে টার্কিক ভাষাভাষী উইগুর এবং হান চীনা সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টির লক্ষ্যে অনেকবার হামলা চালানো হয়েছে৷

শিনচিয়াংয়ের সাবেক বাসিন্দা এবং বর্তমানে বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত ৫৮ জনের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে হংকংভিত্তিক হিউম্যান রাইটস ওয়াচ গবেষক মায়া ওয়াং বলেন, শিনশিয়াংয়ে বন্দি শিবিরের বাইরে এখনো কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে৷

তাদের বক্তব্য অনুযায়ী, আধুনিক প্রযুক্তি সম্বলিত তল্লাশি চৌকি উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ানো হয়েছে৷ এখানে ফেসিয়াল রেকগনিশন প্রযুক্তি এবং বাড়ি ধরে ধরে কিউআর কোড দিয়ে তার মাধ্যমে পুলিশের তদারকি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে৷

এএইচ/এসিবি (রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য