1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চীনের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা যুক্তরাজ্যের

২১ জুলাই ২০২০

অ্যামেরিকার পর এ বার চীনের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে শুরু করল যুক্তরাজ্য। যা নিয়ে চীন রীতিমতো ক্ষুব্ধ।

https://p.dw.com/p/3fd5m
ছবি: picture-alliance/Zuma/W. Siawillie Siau

হংকং ও উইগুর মুসলিমদের বিরুদ্ধে চীন যে ব্যবস্থা নিয়েছে, তাতে রীতিমতো অসন্তুষ্ট যুক্তরাজ্য। তাঁরা চীনের বিরুদ্ধে তিনটি ব্যবস্থা নিয়েছে বা নেওয়ার কথা বলেছে। হংকং-এর সঙ্গে বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়েছে। সেই সঙ্গে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, এমন কোনও অস্ত্র বিক্রি করা হবে না, যা তারা হংকং-এ বিক্ষোভ মোকাবিলায় ব্যবহার করতে পারে। এ ছাড়া যুক্তরাজ্যে ৫জি ব্যবস্থা চালুর ক্ষেত্রে  চীনের কোম্পানিকে বরাত দেওয়া হচ্ছে না। 

বিদেশ সচিব ডমিনিক রাব জানিয়েছেন, ''আমরা চাই বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তির বেশ কিছু সেফগার্ড রাখতে। যুক্তরাজ্য থেকে যাঁদের  চীনের হাতে তুলে দেওয়া হবে, তাঁদের বিরুদ্ধে নতুন নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার করে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না।'' বিদেশ সচিব পার্লামেন্টে বলেছেন, অস্ত্র বিক্রি না করার সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকর হবে।

এর আগে অ্যামেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, ক্যানাডাও চীনের সঙ্গে বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি স্থগিত রেখেছে।

যুক্তরাজ্যের এই সিদ্ধান্তে চীন অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। তাদের অভিযোগ, চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাচ্ছে যুক্তরাজ্য। তারা বারবার আন্তর্জাতিক আইন ও সম্পর্কের রীতি ভঙ্গ করছে। যদি তারা এই সব ভুলভাল সিদ্ধান্ত নিতে থাকে তা হলে যুক্তরাজ্যকেও তার ফল ভুগতে হবে বলে হুমকি দিয়েছে চীন।

এর আগে লন্ডনের চীনা রাষ্ট্রদূত জানিয়েছিলেন, নতুন সুরক্ষা আইন নিয়ে চীনকে চাপ দিলে লোকে তা প্রতিহত করবে। এই ধরনের চাপে কোনও কাজ হবে না।

হংকং-এ গণতন্ত্রপন্থী ও অধিকাররক্ষা কর্মীদের বিরুদ্ধে চীন ব্যবস্থা নেওয়ার পরই যুক্তরাজ্যের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক খারাপ হচ্ছিল। যুক্তরাজ্যের দাবি, এর সঙ্গে আরও দুইটি বিষয় যুক্ত হয়েছে। উইগুর মুসলিমদের প্রতি চীনের ব্যবহার এবং করোনা ভাইরাস নিয়ে তথ্য গোপন করা। করোনা নিয়ে চীন সত্যি কথা বলেনি, তার ফল গোটা বিশ্বকে ভুগতে হচ্ছে বলে যুক্তরাজ্য মনে করে। 

বিশেষজ্ঞ নিক ভামোস বলেছেন, হংকং ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে বন্দি প্রত্যর্পণ খুব বেশি হয় না। ফলে এটাকে একটা প্রতীকী ব্যবস্থা হিসাবে ধরতে হবে। তবে বার্তাটা খুব কড়া।

বিদেশ সচিব রাব বলেছেন, হংকং সহ চীনকে অস্ত্র বিক্রি না করার সিদ্ধান্তের মেয়াদ বাড়ানো হতে পারে। স্মোক গ্রেনেডের মতো জিনিস তাদের হাতে আর তুলে নাও দেওয়া হতে পারে।

অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, হংকং-কে আর বিশেষ বানিজ্যিক সুবিধা দেওয়া হবে না। এভাবেই চীনের উপর চাপ সৃষ্টি করছে অ্যামেরিকাও যুক্তরাজ্য। 

চীন অভিযোগ করেছে, অ্যামেরিকার কথাতেই যুক্তরাজ্য এই সব ব্যবস্থা নিচ্ছে। হংকং হলো চীনের অঙ্গ। ফলে হংকং-এর ব্যাপারে তারা যেন নাক না গলায়। হংকং এর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করলে চীন সেটা কোনওভাবে মেনে নেবে না।

জিএইচ/এসজি(রয়টার্স, এএফপি)