চুলের নানা পর্যায়ের রহস্য
৪ অক্টোবর ২০১৩অন্যের মাথাভর্তি চুল দেখে অনেকেই হিংসায় জ্বলতে পারেন৷ আসলে চুল গজানোর বিভিন্ন পর্যায় রয়েছে৷ এগুলো কীভাবে কিংবা আদৌ গজাবে কিনা তা মানুষের বয়স, লিঙ্গ আর জিনের উপর নির্ভরশীল৷ কয়েক মাস বয়সের শিশুর মাথার নরম, কোমল চুলগুলোকে বলে ‘ভেলাস হেয়ার'৷ খুব শীঘ্রই এগুলো পূর্ণতা পায়৷ একইসঙ্গে তার চোখের আইল্যাশ বা পলক এবং ভ্রুও গড়ে ওঠে৷
চুল গজানোর প্রাথমিক পর্যায়কে বলা হয় ‘অ্যানাজিন ফেজ'৷ এই পর্যায়ে ত্বকের ভেতরে চুলের শিকড় তৈরি হয়৷ এরপর বীজ থেকে চারা গজানোর মতোই বাড়তে থাকে চুল৷ মানুষের মাথায় আশি থেকে ৮৫ শতাংশ চুল এভাবেই গজায়৷ এই চুল সাত বছর পর্যন্ত স্থায়ী হয়৷
সাত বছর পর শুরু হয় চুলের রূপান্তর পর্যায়৷ কোষ উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়৷ এরপর চুলের স্থায়ীত্বকাল হয় চার মাস৷ তবে কিছু চুল, যেমন ভ্রু-র স্থায়ীত্ব একটু বেশি হতে পারে৷ একটি চুল পড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেটির গোড়ায় আরেকটি নতুন চুল গজায়৷ আর এই প্রক্রিয়া নিজে থেকেই পুনরাবৃত্তি হতে থাকে৷ এটা ভালো, কেননা প্রতিদিন ৬০ থেকে ১০০ চুল হারায় মানুষ৷
পুরুষের শরীরের অনেক স্থানে নারীর তুলনায় বেশি চুল থাকে৷ যেমন দাড়ি, বগলের লোম, কানের লোম – এসব স্থানে চুল গজানোটা বিভিন্ন সংস্কৃতিতে পুরুষালি ব্যাপার হিসেবে বিবেচনা করা হয়৷ চুলের বৃদ্ধির জন্য পুরুষের সেক্স হরমোন অ্যান্ড্রোজেনের দরকার হয়৷ তবে চুলের বৃদ্ধির পরিমাণ অঞ্চল ভেদে ভিন্ন হতে পারে৷
একটি চুল তুলে ফেললে তা চুলের বৃদ্ধির উপর কোন প্রভাব ফেলে না৷ চুলের শিকড় নষ্ট হলে অবশ্য সমস্যা৷ আর এগুলো কত বড় হবে তা নির্ভর করে হরমোনের উপর৷
পুরুষের মাথার চুল প্রতি তিনদিনে মাত্র এক মিলিমিটার করে বৃদ্ধি পায়৷ খুব কম, তাই না? তাই চুল কাটার আগে আমাদের সতর্ক হওয়া উচিত৷ সবসময় যে কাটতেই হবে এমন কোনো কথা নেই৷
ইয়োহান মিয়ারবাখ / এআই
সঞ্জীব বর্মন