1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চেক পয়েন্ট চার্লির স্মৃতি বিজড়িত লেখনী

২৯ সেপ্টেম্বর ২০১০

জার্মানির রাজধানী বার্লিন হচ্ছে সংস্কৃতি চর্চার মূল কেন্দ্র৷ সবসময়ই আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রদর্শনীতে গমগম করে বার্লিন৷ কখনো কনসার্ট, কখনো চলচ্চিত্র পুরস্কার৷ দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ আসে এসব প্রদর্শনীতে, কনসার্টে৷

https://p.dw.com/p/PPSi
ছবি: picture-alliance / akg-images

রোমানিয়ার লেখিকা কারমেন ফ্রান্সেচকা বানসিউ৷ ১৯৯০ সালে প্রথমবারের মত তিনি বার্লিনে আসেন৷ তখন দুই জার্মানি একত্রিত হচ্ছে৷ চেকপয়েন্ট চার্লির সেই জায়গাটি তাঁর জন্য একারণেই খুব তাৎপর্যপূর্ণ৷ তিনি নিজেই বললেন, ‘‘এখানে বার্লিন প্রাচীর ছিল৷ এখন তা আর নেই৷ আমার কাছে সবসময় মনে হয় যে, এই জায়গাটি থেকেই সব ধরণের মুক্ত চেতনার জন্ম হয়েছিল৷ সেই শক্তি, সেই ইচ্ছা – সবকিছুর সূত্রপাত ঘটেছিল এই চেকপয়েন্ট চার্লিতে৷''

Flash-Galerie Checkpoint Charlie
রোমানিয়ার লেখিকা কারমেন ফ্রান্সেচকা বানসিউছবি: DW

লেখিকা কারমেন বানসিউ একটি বই লিখেছেন৷ ৩৫ বছর আগে তিনি বার্লিনে প্রথম এসেছিলেন৷ সেই পুরনো দিনের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ঘটনাগুলো তিনি তুলে ধরেছেন তাঁর বইতে৷ যে দোকানগুলিতে তিনি নিয়মিত কেনা-কাটা করতেন৷ যেখানে বসে সন্ধ্যার কফি পান করতেন৷ সবই উঠে এসেছে তাঁর বই'এর পাতায়৷

তিনি জানান, ‘‘বার্লিনের সঙ্গে তেমন কোন যোগাযোগ আমার ছিল না৷ বার্লিনের প্রতি আমার ভালোবাসা অনেক পুরনো৷ তবে সেই বার্লিন আজ আর নেই৷ চেকপয়েন্ট চার্লি এখন হচ্ছে একটি মিলনস্থল৷ আবার একসময়, এখান থেকে দু'দিকে চলে গিয়েছিল পথ৷ সেখানে এখন যা হচ্ছে, তা সবার জন্যই নতুন এক অভিজ্ঞতা৷''

তাঁর বইয়ে কারমেন বানসিউ স্পষ্টভাবেই বার্লিনে প্রতি তাঁর অনুরাগ, ভালবাসার কথা উল্লেখ করেছেন৷ বইয়ের নাম ‘বার্লিন হচ্ছে আমার প্যারিস'৷ রোমানিয়ার লেখিকা হলেও বইটি তিনি লিখেছেন জার্মান ভাষায়৷

প্রতিবেদন: মারিনা জোয়ারদার

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ