‘চেতনার কথা বলে চুরি, চামারির ইনডেমনিটি পাওয়া যাবে না’
২৬ নভেম্বর ২০২২‘ডয়চে ভেলে খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়’ টকশো-তে এবারের আলোচনার বিষয় ছিল- ইসলামী ব্যাংকে কেন ‘ভয়ংকর নভেম্বর’৷ আলোচনার শুরুতেই সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া বলেন, ‘‘দুর্নীতির কারণে আজকে অনেকে বিত্ত বৈভবের মালিক হচ্ছে৷ এই সম্পদ তারা দেশে রাখে না৷ এই সম্পদ তারা বিদেশে পাচার করছে৷’’
সম্প্রতি ইসলামী ধারার তিনটি ব্যাংক থেকে সন্দেহজনকভাবে সাড়ে নয় হাজার কোটি টাকার ঋণ প্রদান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া কেউ এভাবে ঋণ পায় না এবং ঋণ আত্মসাৎও করতে পারে না৷ বিগত বিএনপির সরকারের সঙ্গে এই সরকারের অর্থ লেনদেনের দিক থেকে মৌলিক কোন পার্থক্য নেই৷’’
অনুষ্ঠানের আরেক অতিথি বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহীম সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকনের গণতন্ত্রের সংজ্ঞার আদলে বলেন, বর্তমান সরকার ‘দুর্নীতির দ্বারা গঠিত, দুর্নীতির জন্য এবং দুর্নীতির সরকার’৷ ইসলামী ব্যাংকের ঋণ নিয়ে তিনি বলেন, ‘‘এটা আমাদেরকে তদন্ত করতে হবে৷ এই টাকাগুলোর মালিকতো বাংলাদেশের মানুষ৷ ফালতু কথা বলে পার পাওয়া যাবে না৷ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি বলে সবকিছু ইনডেমনিটি পাবে! চুরি-চামারি, ডাকাতির ইনডেমনিটি ১৪ দলের কেউ দিতে পারবে না৷’’
এই বিষয়ে একমত কিনা জানতে চাইলে দিলীপ বড়ুয়া বলেন, ‘একমত, একমত, একমত৷' আওয়ামী লীগের সাবেক সরকারের এই মন্ত্রী বেসিক ব্যাংকের দুর্নীতির প্রসঙ্গও টেনে আনেন৷ তিনি বলেন, ‘‘আমি যখন মন্ত্রী ছিলাম তখন এক বছর পর্যন্ত এটি শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনে ছিল৷ তখন তা শতভাগ স্বচ্ছ ব্যাংক ছিল৷ কিন্তু রাতারাতি সেটা অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনে নেয়ার পর বাচ্চু সাহেবকে যখন চেয়ারম্যান করা হলো, তখন থেকে এর গতি নিম্নমুখী হলো এবং যা কেলেঙ্কারি হওয়ার তা হয়েছে৷’’ তার আশা কোন না কোন সময় এর বিচার হবে৷
বাংলাদেশের ধর্ম, বর্ণ, দল, মত নির্বিশেষে সব মানুষের জন্য সমতার বাংলাদেশ হবে কিনা, অনুষ্ঠানের শেষদিকে দুই জনের কাছেই এমন প্রশ্ন ছিল৷ এই বিষয়ে মে. জে. (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহীম বীর প্রতীক বলেন, ‘‘সুযোগের সমতা সম্ভব৷ শুধু দরকার একগুচ্ছ মেধাবী রাজনৈতিক নেতা৷'' অন্যদিকে দীলিপ বড়ুয়ার মত, ‘‘সহসা হবে না৷ আরো কাঠখড় আমাদের পোহাতে হবে৷’’
এফএস/এআই