1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চৈনিক আপত্তির মুখে মঙ্গোলিয়ায় দলাই লামা

১২ নভেম্বর ২০১১

বেশ নিচু মাত্রাতেই দলাই লামা তাঁর মঙ্গোলিয়ায় ধর্মীয় সফর চালিয়ে যাচ্ছেন৷ চীন যথারীতি দলাই লামার এই সফরের বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে এর প্রতিবাদ করেছে৷ এদিকে চীন অধিকৃত তিব্বতে প্রতিবাদ বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে৷

https://p.dw.com/p/139hC
মঙ্গোলিয়ায় দলাই লামার ভাষণের প্রচারছবি: Nicole Graaf

সফরটি ধর্মীয়৷ অন্তত দলাই লামা এবং সেইসঙ্গে মঙ্গোলিয়ার বৌদ্ধ সংগঠনের সেরকমটাই দাবি৷ তিব্বতিদের ভারতে বসবাসকারী শীর্ষ ধর্মীয় গুরু দলাই লামা মঙ্গোলিয়ার রাজধানী উলান বাটোরের সন্নিকটে যে সফর চালাচ্ছেন, তাতে তিনি বেশ কিছু জায়গায় ধর্মীয় ভাষণ দিয়েছেন৷ যে বিষয়টি এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লক্ষ্য করার মত, তা হল, উলান বাটোরের কাছেই যে স্পোর্টস স্টেডিয়ামে অবস্থান করছেন এবং ভাষণ দিচ্ছেন দলাই লামা, সেটি আবার তৈরি করে দিয়েছে চীন৷

মঙ্গোলিয়া বেশ দরিদ্র একটি দেশ৷ সেদেশে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের যথেষ্ট আধিক্য রয়েছে৷ তারা সকলেই আবার ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গিতে দলাই লামার অনুসারী৷ সেই সম্প্রদায়ের তরফে মঙ্গোলিয়ান বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের প্রধান চোইজামট্স দেমবেরেল সংবাদসংস্থা এপি-কে এ বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেছেন, মঙ্গোলিয়ার বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের বিশেষ অনুরোধে দলাই লামা এদেশে সফর করতে রাজি হয়েছেন বলে তাঁরা আনন্দিত৷ এই সফরের মধ্যে রাজনীতির কোন নামগন্ধ নেই বলে দেমবেরেলের দাবি৷ মঙ্গোলিয়ার গানডেন থেকছেন চোয়েলিং বৌদ্ধমঠের তরফেই দলাই লামাকে সেদেশে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে জানান দেমবেরেল৷ অতীতে একাধিকবার সেদেশে সফর করেছেন দলাই লামা৷ এবং প্রতিবারেই সে সব সফর ছিল ধর্মীয়৷

Dalai Lama in der mongolei November 2011
মঙ্গোলিয়ায় ভাষণ দিচ্ছেন দলাই লামাছবি: Nicole Graaf

মঙ্গোলিয়ার বৌদ্ধ ধর্মীয় প্রতিনিধিদের এসব দাবি অবশ্যই মানতে রাজি নয় চীন৷ বেইজিং-এ চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রকের মুখপাত্র হং লেই এক বিবৃতিতে দলাই লামার এই সফরের তীব্র নিন্দা করে বলেছেন, তিব্বতের এই বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা দুনিয়ার সর্বত্র চীন বিরোধী প্রচার চালাচ্ছেন৷ যে কারণে বিশ্বের কোন দেশ এই নেতাকে কথা বলার জায়গা করে দেওয়ার অর্থই হল চীনের বিরোধিতা করা৷

এদিকে চীন অধিকৃত তিব্বতের স্বাধীনতার দাবিতে সেই অঞ্চল জুড়ে এখন যথেষ্ট উত্তেজনা বিরাজ করছে৷ চলতি বছরের মার্চ মাস থেকে এ পর্যন্ত মোট ১১ জন তিব্বতি চীনের এই অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন৷ তাঁদের মধ্যে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে এ পর্যন্ত৷ তিব্বতিদের শীর্ষ ধর্মীয় গুরু দলাই লামা এই পরিস্থিতির জন্য চীনকেই দায়ী করে বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, চীনের সাম্রাজ্যবাদী নীতিই এইসব ঘটনার নেপথ্যে কাজ করছে৷ আর দলাই লামাকে এইসব ঘটনার জন্য দায়ী করে চীনের বক্তব্য, অধিগৃহীত তিব্বতে যাঁরা নিজেদের শরীরে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করছেন, তাঁদেরকে উস্কিয়েছেন এই দলাই লামা এবং তাঁর বিচ্ছিন্নতাবাদী চিন্তাধারা৷

প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই