চ্যান্সেলরের ইস্তফা, সাবেক চ্যান্সেলর রাজনীতি ছাড়লেন
৩ ডিসেম্বর ২০২১সাবেক চ্যান্সেলর সেবাস্টিয়ান কুয়র্ৎসের বিরুদ্ধে দুর্নীতির একাধিক অভিযোগ নিয়ে তদন্ত চলছে। মাত্র ৩৫ বছর বয়সি এই রাজনীতিক সম্প্রতি বাবা হয়েছেন। তিনি ঘোষণা করেছেন, পরিবারকেই বেশি করে সময় দেবেন। তাই রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন।
কুয়র্ৎসের পর অস্ট্রিয়ায় চ্যান্সেলরের দায়িত্ব পালন করছিলেন আলেকজান্ডার শেলানবুর্খ। কুয়র্ৎসের সিদ্ধান্তের পর তিনিও জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি আর চ্যান্সেলর থাকবেন না। দলের দায়িত্বও ছেড়ে দেবেন। খুব তাড়াতাড়ি অন্য কেউ এই দায়িত্ব নেবেন। তাই তিনি সরে যাচ্ছেন।
কর্জ যা বলেছেন
সাবেক চ্যান্সেলর জানিয়েছেন, চ্যান্সেলর হিসাবে প্রতিদিন প্রচুর সিদ্ধান্ত নিতে হয়। তাই কিছু ভুল সিদ্ধান্ত নেয়ার সম্ভাবনা থাকে। সব সময় চ্যান্সেলর কী করছেন তার উপর নজর রাখা হয়। তাই একটা চাপ থাকে।
গত অক্টোবরে কুয়র্ৎস ইস্তফা দেন। কারণ, জোটসঙ্গী গ্রিন পার্টি তার ইস্তফার জন্য জোরাজুরি করছিল। সেই সময় কুয়র্ৎসের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে তদন্তও শুরু হয়। এর আগে অস্ট্রিয়ার মানুষের ধারণা ছিল, কুয়র্ৎস অনেকদিন চ্যান্সেলর থেকে যাবেন।
একের পর এক কেলেঙ্কারি
মিথ্যা বিবৃতি ও মানুষের আস্থাভঙ্গের অভিযোগ নিয়ে কুয়র্ৎসের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। অভিযোগ, তিনি সরকারি পয়সা খরচ করে বিনা পয়সায় সংবাদপত্রে কভারেজ পেয়েছেন।
কুয়র্ৎস এই সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ইস্তফা দেয়ার সময় কুয়র্ৎস বলেছিলেন, এই সব অভিযোগ তার কাজের ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে। ইস্তফা দেয়ার আগে শেষ কয়েক মাস অভিযোগের জবাব দেয়া নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন কুয়র্ৎস।
ইস্তফার পর
কুয়র্ৎস ইস্তফা দেয়ার পর অনেকের ধারণা ছিল, আলেকজান্ডার সাময়িকভাবে চ্যান্সেলর হয়েছেন। কুয়র্ৎস অভিযোগমুক্ত হয়ে ফিরে এসে আবার চ্যান্সেলর হবেন। কুয়র্ৎস ২০১৭ সালে পিপলস পার্টির নেতৃত্বভার নেন। তখন তার পর কে নেতা হবেন, সেটা ঠিক ছিল না। এখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কার্ল নিহামা দলের দায়িত্ব নিতে পারেন।
জিএইচ/এসজি (ডিপিএ, এপি, রয়টার্স)