চ্যাম্পিয়নস লিগ: ডর্টমুন্ড, শালকে, দু’দলই ড্র করল
৭ নভেম্বর ২০১২কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপের হাতে ডর্টমুন্ড শুধু বুন্ডেসলিগা চ্যাম্পিয়নই নয়, জার্মান ফুটবলে বায়ার্নের পরেই দ্বিতীয় শক্তিতে পরিণত হয়েছে৷ অনেকে বলেন, স্থায়ীভাবে বায়ার্নের প্রতিযোগী নয়, প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে ওঠার ক্ষমতা রাখে ডর্টমুন্ড৷ এবার বুন্ডেসলিগায় ডর্টমুন্ড কিছুটা ব্যাকফায়ার করলেও, চ্যাম্পিয়নস লিগে ডর্টমুন্ডকে যে ফর্মে দেখা যাচ্ছে, তাতে মনে হতে পারে, ডর্টমুন্ড যেন স্থায়ীভাবে ইউরোপীয় পর্যায়ে খেলতে কেমন লাগে, তার একটা মোহড়া নিচ্ছে৷
গতমাসে রেয়ালকে গেলজেনকির্শেনে ২-১ গোলে হারায় ডর্টমুন্ড৷ এবার বের্নাবেউ স্টেডিয়ামে রেয়াল খেলাটা মোটামুটি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখলেও, ডর্টমুন্ড জেনেশুনেই সুযোগ পেলে পাল্টা আক্রমণের পথ বেছে নিয়েছে৷ নিজেদের মাঠে রেয়ালের মহারথীদের ঘায়েল করার চেষ্টা করে লাভ নেই৷ কিন্তু সুযোগ পেলে হুল ফোটাতে অসুবিধে কোথায়? এই পন্থাতেই ডর্টমুন্ড মঙ্গলবারের ম্যাচে একবার নয়, দু'বার এগিয়ে যায়৷
মেসুতের ম্যাজিক
ডর্টমুন্ডের, এবং সম্ভবত জার্মানির উঠতি তারকা মার্কো রয়েস ২৮ মিনিটে গোল করলেও, রেয়ালের পেপে তার ছ'মিনিট পরেই সেটা শোধ করে দেয়৷ হাফটাইমে পৌঁছনোর মুখে রেয়ালের আলভারো আর্বেলোয়া নিজেই নিজেদের নেটে বলটা ঢুকিয়ে দেন ভুল করে৷ স্কোর দাঁড়ায় ২-১৷
তাও ডর্টমুন্ড জিততে পারত, কিন্তু জার্মান দলটি বধ হল রেয়ালের জার্মান অস্ত্রে৷ সেই অস্ত্রটির নাম মেসুত ওয়েজিল৷ রেয়ালের হয়ে ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডোই সাধারণত ফ্রি কিকগুলো নিয়ে থাকে৷ এবার কিন্তু এলো ওয়েজিলের একটি মনোলোভা কার্লিং শট, ৮৯ মিনিটের মাথায়৷ এবং প্রমাণ হল যে, জার্মান দলের পক্ষে প্রথমে এগিয়ে যাওয়াটা শক্ত কাজ নয়, সেই লিড ধরে রাখাটাই মুশকিল৷ অনেকটা মাছ খেলিয়ে ডাঙায় তোলার মতো৷ সেজন্য লাগে স্ট্যাটেজি, ট্যাকটিক আর ঠাণ্ডা মাথা৷
শালকের আছে স্পিরিট
জার্মান ফুটবলের মান যাই হোক না কেন, জার্মান ফ্যানরা বিশ্বসেরা৷ ডর্টমুন্ডের পাঁচ হাজার ফ্যান মাদ্রিদে গিয়ে রেয়ালের ফ্যানদের প্রায় চুপ করিয়ে দিয়েছে৷ আর আর্সেনালের বিরুদ্ধে শালকের খেলা তো ছিল গেলজেনকির্শেনে! কাজেই ফার্স্ট হাফে থিও ওয়ালকট আর অলিভিয়ের জিরুর গোলে ২-০ এগিয়ে থেকেও আর্সেনালকে ড্র করতে হল, কেননা শালকের হুন্টেলার এবং ফারফান সে দু'টো গোল শোধ করল স্রেফ শালকে নাছোড়বান্দা বলে৷
পরে আর্সেনালের কোচ আর্সেন ওয়েঙ্গারও বলতে বাধ্য হয়েছেন, ‘‘২-০'য় গেম তো আর জেতা হয়নি৷ জার্মান দলগুলোর শারীরিক ক্ষমতার কথা ভাবলে তো নয়ই৷ ওদের অনেক গুণ আছে৷ এছাড়া ওরা কখনোই হাল ছাড়ে না৷''
হক কথা৷
এসি/ডিজি (ডিপিএ, রয়টার্স)