চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কয়েকটি অবিশ্বাস্য ‘কামব্যাক’
২০১৮ সালে রোমাকে ছিটকে ফেলে চমক দেখিয়েছিল বার্সেলোনা৷ আর ২০১৯ সালে সেই বার্সেলোনাকে চমকে দিয়ে অবিশ্বাস্য এক কামব্যাকে মেসিবাহিনীকে শেষ চার থেকেই ঘরের পথ দেখালো লিভারপুল৷
লিভারপুল-বার্সেলোনা, ২০১৯
নিজেদের মাঠ ন্যু ক্যাম্পে ৩-০ গোলে সেমিফাইনালের প্রথম লেগে এগিয়ে ছিল মেসি’র বার্সেলোনা৷ দ্বিতীয় লেগে লিভারপুলের মাঠ অ্যানফিল্ডে দলের দুই সেরা খেলোয়াড় সালাহ ও ফিরমিনিয়োকে ছাড়াই ৪-০ গোলের এক অবিশ্বাস্য জয় তুলে নিল অলরেডরা৷ অবিশ্বাস্য এই কামব্যাকটি অমর হয়ে থাকবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে৷
রোমা-বার্সেলোনা, ২০১৮
মঙ্গলবার রাতে রোমার কাছে ৩-০ গোলে হেরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে ছিটকে পড়েছে বার্সেলোনা৷ অথচ প্রথম রাউন্ডে নিজেদের মাঠে ৪-১ গোলে জিতেছিল মেসির দল৷ কিন্তু ইটালির দলটি নিজেদের মাঠে বার্সাকে তাদের সামর্থ্যের প্রমাণ দেখিয়ে দিয়েছে৷
বার্সেলোনা-পিএসজি, ২০১৭
মঙ্গলবার বার্সা পরাজিতদের দিকে থাকলেও তারাই বছরখানেক আগে অবিশ্বাস্য এক লড়াই করে পিএসজিকে প্রতিযোগিতা থেকে বিদায় করে দিয়েছিল৷ শেষ ষোলোর প্রথম রাউন্ডে ৪-০ গোলে জিতেছিল পিএসজি৷ কিন্তু বার্সার মাঠে গিয়ে ৬-১ গোলে হেরে যায় তারা৷ বার্সার শেষ তিন গোলের প্রথমটি এসেছিল ৮৭ মিনিটে৷ আর শেষ গোলটি হয়েছিল অতিরিক্ত সময়ের শেষ মিনিটে৷ এখন পর্যন্ত বার্সা ছাড়া আর কোনো দল চার গোলের ব্যবধান অতিক্রম করতে সক্ষম হয়নি৷
ডেপোর্টিভো লা কোরুনা-এসি মিলান, ২০০৪
কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম রাউন্ডে ৪-১ গোলে হারের পর স্পেনের ক্লাব ডেপোর্টিভো লা কোরুনা দ্বিতীয় রাউন্ডে ইটালির এসি মিলানকে ৪-০ গোলে হারিয়েছিল৷
লিভারপুল-এসি মিলান, ২০০৫
আগের বছর কোয়ার্টার ফাইনালে ডেপোর্টিভো লা কোরুনার কাছে অবিশ্বাস্য হারের পরের বছরই আবারও কপাল পোড়ে এসি মিলানের৷ তবে এবার ফাইনালে তাদের হারায় লিভারপুল৷ ম্যাচের প্রথমার্ধে ৩-০ গোলে এগিয়েছিল ইটালীয় ক্লাবটি৷ পরে গোলগুলো পরিশোধ করে ফেলে লিভারপুল৷ শেষমেষ টাইব্রেকারে গিয়ে ৩-২ গোলে হেরে যায় পাওলো মালদিনির এসি মিলান৷
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড-বায়ার্ন মিউনিখ, ১৯৯৯
সম্ভবত চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ইতিহাসের সবচেয়ে নাটকীয় শেষ দুই মিনিট দেখেছে এই ম্যাচ৷ খেলার পুরো সময়টা এক গোলে এগিয়ে ছিল জার্মানির বায়ার্ন৷ ৯১ মিনিটের সময় সেই গোল পরিশোধ করে অ্যালেক্স ফার্গুসনের ম্যান ইউ৷ পরের মিনিটেই আরেকটি গোল করে বায়ার্নের কাছ থেকে একরকম মুকুটটি কেড়েই নেয় ইংলিশ ক্লাবটি৷
মোনাকো-রেয়াল মাদ্রিদ, ২০০৪
কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম রাউন্ডে ৪-২ গোলে হেরেছিল মোনাকো৷ ফলে দ্বিতীয় রাউন্ডের আগে অনেকে ধরেই নিয়েছিলেন হয়ত রেয়াল মাদ্রিদই যাচ্ছে সেমিফাইনালে৷ এরপর খেলা শুরু হওয়ার পর ৩৬ মিনিটে যখন রেয়ালের রাউল গোল করেন, তখন তো সেই বিশ্বাস আরও সুদৃঢ় হয়৷ কিন্তু হিসাব যদি এত সরলই হবে, তাহলে সমর্থকরা আর ফুটবল দেখবেন কেন? তাইতো পরপর তিন গোল করে রেয়ালকে প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে ফেলেছিল মোনাকো৷
বার্সেলোনা-চেলসি, ২০০০
প্রথম পর্বে ৩-১ গোলের হার ছিল বার্সার৷ পরের পর্বের শুরুতে দুই গোল করে বার্সা ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখিয়েছিল৷ কিন্তু ৬০ মিনিটের সময় বার্সার মাঠে চেলসি একটি গোল করে বসলে বার্সা সমর্থকদের মধ্যে স্বপ্ন ভেঙে যাওয়ার আশংকা জেগেছিল৷ এরপর খেলা শেষের সাত মিনিট আগে গোল করে সমতায় ফেরে কাটালানরা৷ পরে অতিরিক্ত সময়ের খেলায় দুটো গোল করে উতরে যায় বার্সা৷