চ্যাম্পিয়ন্স লিগের চমক জাগানো কিছু ঘটনা
উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ এখন শেষ ধাপে৷ ঘটনাবহুল এ আসরে চারটি দল ইতিমধ্যে উঠে গেছে শেষ চারে৷ বড় ভুল, বড় জয়, মধুর প্রতিশোধ, মেসির ক্যারিশমা – সবই ঘটেছে কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত৷ সেসব নিয়েই আজকের ছবিঘর৷
২০ মিলিয়ন ইউরোর ভুল
গ্রুপ পর্বের আগেই ঘটে যায় নিদারুণ এক ঘটনা৷ ঘটনার শিকার লেগিয়া ওয়ারশ৷ সেল্টিককে ৬-১ গোলে হারায় পোল্যান্ডের লেগিয়া৷ কিন্তু ভুল বদলি খেলোয়াড় খেলানোয় এমন জয়ের পরও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেলা হয়নি তাদের৷ কোর্ট অফ আরবিট্রেশনে আপিল করেও হেরে যায় লেগিয়া৷ ওই এক ভুলের কারণে নাকি ২০ মিলিয়ন ইউরোর ক্ষতি হয়েছে পোলিশ ক্লাবটির৷
বেশি বয়সে গোল
সাড়ে তিন বছরে প্রথম বারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলতে নেমেছিলেন ফ্রান্সেসকো টটি৷ গত সেপ্টেম্বরে ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে যখন নামলেন, ইটালির ক্লাব রোমা’র স্ট্রাইকারের বয়স তখন ৩৮ বছর৷ খেলার ধার যে একটুও কমেনি রোমার হয়ে গোল করে তা প্রমাণও করেছেন টটি৷ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ইতিহাসে এর আগে এত বেশি বয়সে কেউ গোল করতে পারেননি৷
বায়ার্নের ‘সাত আসমান’
অক্টোবরে বায়ার্ন-রোমা ম্যাচটায় অনেকেই খুব প্রতিদ্বন্দ্বিতা আশা করেছিলেন৷ রোমার মাঠে খেলা, তবু সে আশার গুড়ে বালি ঢেলে দিল বায়ার্ন৷ ৭-১ গোলে জিতে দেশে ফিরলো জার্মান ক্লাবটি৷ ইউরোপীয় ফুটবলের ইতিহাসে প্রতিপক্ষের মাঠে এটাই তাদের সবচেয়ে বড় জয়৷
মেসির রেকর্ড
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সবচেয়ে বেশি গোলের মালিক হয়েছেন লিওনেল মেসি৷ আপোয়েল নিকোসিয়ার বিপক্ষে দুর্দান্ত এক হ্যাটট্রিক করে এ আসরে নিজের ৭৪ তম গোল পেয়ে যান আর্জেন্টাইন সুপারস্টার আর তাতেই নতুন রেকর্ড৷ আগের রেকর্ডটি ছিল রেয়ালের সাবেক স্প্যানিশ তারকা রাউল গঞ্জালেসের৷ পরের দিন রেয়ালের বর্তমান তারকা রোনালডোও নেমে পড়েন গোল উৎসবে৷ রাউলকে ছাড়িয়ে তিনিই এখন চ্যাম্পিয়ন্স লিগের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোরার৷
বোরুসিয়ার দুঃস্বপ্নের রাত
কোয়ার্টার ফাইনালে উঠতে হলে ইটালির জুভেন্টাসকে সেদিন জিততেই হতো৷ প্রতিপক্ষ জার্মানির বোরুসিয়া ডর্টমুন্ড৷ জুভেন্টাসের শহর টুরিনেই ম্যাচ৷ স্বাগতিক হওয়ার সুবিধা পুরোপুরি তুলে নিয়ে ডর্টমুন্ডকে ৩-০ গোলে বিধ্বস্ত করে শেষ আটে উঠে গেল জুভেন্টাস৷ বিদায় নিলো ডর্টমুন্ড৷
বিধ্বংসী বায়ার্ন
কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে এফসি পর্টোর কাছে ৩-১ গোলে হেরে গিয়েছিল বায়ার্ন মিউনিখ৷ সেমিফাইনালে উঠতে নিজেদের মাঠের ফিরতি ম্যাচে কমপক্ষে ৪ গোলের ব্যবধান রেখে জিততেই হতো৷ কঠিন কাজ৷ কিন্তু তা এত সহজে বায়ার্ন করে দেখালো যে বিশেষজ্ঞরাও অবাক! প্রথম ২৬ মিনিটেই ৫ গোল করে সেমিফাইনাল একরকম নিশ্চিত করে ফেলে তারা৷ ম্যাচ শেষে ফলাফল বায়ার্ন ৬ পর্টো ১, অর্থাৎ ৭-৪ অ্যাগ্রিগেটে বায়ার্নই উঠে যায় সেমিফাইনালে৷