চ্যালেঞ্জ এর মুখে সংবাদমাধ্যম
১২ জুন ২০০৯সেখানে ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন ফর জার্নালিষ্ট-এর এক প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ার সংবাদমাধ্যমগুলো একটি চ্যালেঞ্জ-এর মধ্য দিয়ে যাচ্ছে৷ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সত্যিকারের একটি গণতান্ত্রিক অবস্থার জন্য প্রয়োজন শক্তিশালী এবং স্বাধীন গণ মাধ্যম৷ তাঁরা বলেছেন, এই এলাকায় সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে বড় সমস্যাটি হলো বিভিন্ন স্থানে সহিংস অবস্থা৷ সেখানে সাংবাদিকরা কাজ করতে গিয়ে একদিকে বাধা পাচ্ছেন, অন্যদিকে, এসব দেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন গ্রুপের হাতে সাংবাদিক নির্যাতন এবং হত্যার ঘটনাও ঘটছে৷
উদাহরণ হিসাবে শ্রীলংকার কথা চলে আসে৷ শ্রীলংকার একসময়ের প্রাণচাঞ্চল্যময় মিডিয়া পরিবেশ সাংবাদিক ও মিডিয়া কর্মীদের উপর আক্রমণের কারণে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ সেখানে ২০০৬ সাল থেকে এপর্যন্ত অন্ততপক্ষে ১৪ জন মিডিয়া কর্মী হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছেন৷ বিশজনেরও বেশি সাংবাদিক প্রাণহানির ভয়ে দেশ ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছে৷
পাকিস্তানের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে মিডিয়া ফোরামের এক সাংবাদিক জানান, বিভিন্ন গ্রুপের মধ্যে কাজ করতে হচ্ছে সংবাদ কর্মীদের৷ এ ছাড়া সেখানে স্বাধীন সংবাদ মাধ্যমের কাজে বাধা হয়ে আছে বিভিন্ন কঠোর এবং কঠিন তথ্য আইন৷
ভারত কিংবা বাংলাদেশে তো একের পর এক ঘটে যাচ্ছে বিভিন্ন মহলের কাছ থেকে সাংবাদিকদের হুমকি এমন কি আক্রমনের ঘটনাও৷
জার্মানির বন শহরে শেষ হলো দ্বিতীয় গ্লোবাল মিডিয়া ফোরাম৷ অন্য অনেক দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এখানে যোগ দিয়েছিলেন বাংলাদেশের সাংবাদিক এবং এনজিও কর্মীরাও৷
এক হাজারেরও বেশি প্রতিনিধির অংশগ্রহণের মাধ্যমে গত শুক্রবার জার্মানির বন শহরে শেষ হলো গ্লোবাল মিডিয়া ফোরাম৷ সমাপনী দিনে এক বিবৃতিতে ডয়চে ভেলের মহাপরিচালক এরিক বেটারমান বলেছেন, বিশ্বায়নের এই চরম বির্তকের সময়ে আমাদের সামনে এখন বড় চ্যালেঞ্জ ৷ এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে৷
এবারের এই সম্মেলনে গুরুত্ব পেয়েছিল বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে সাংবাদিকদের নানা অসুবিধার কথা৷ উঠে এসেছিল বিকল্প মিডিয়ার কথাও৷
গ্লোবাল মিডিয়া ফোরামে অংশগ্রহণকারীদের সম্মানে বন শহরের শীর্ষ মেয়রের দেয়া এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শেষ হলো এবারের আয়োজন৷ আগামী আসর হবে ২০১০ সালের জুন মাসে৷
প্রতিবেদক: সাগর সারওয়ার, সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক