ছুটি বাড়ানোর ইঙ্গিত প্রধানমন্ত্রীর
৩১ মার্চ ২০২০বাংলাদেশে সরকারঘোষিত সাধারণ ছুটি আরো পাঁচদিন বাড়ানো হতে পারে৷ মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বিভিন্ন নির্দেশনা দিতে গিয়ে বলেন, ‘‘আমরা ছুটি দিয়েছিলাম, হয়তো আমাদের আরও কয়েকদিন একটু বাড়াতে হতে পারে৷ কারণ যারা অনেকে গ্রামে চলে গেছেন, সেখানে কোনো রকম আবার এই রোগের প্রার্দুভাব দেখা না দেয়, সেই সময়টা হিসেব করে৷ আমরা ১০/১২ দিনের ছুটি দিয়েছিলাম৷ এটা ১৪ দিন পর্যন্ত হতে পারে৷''
করোনা ভাইরাসের প্রকোপ ঠেকাতে গত ২৭ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার৷ বন্ধ করা হয়েছে সব ধরণের যোগাযোগও৷ এই সময়ে সবাইকে বাড়িতে থাকার অনুরোধ জানানো হয়৷
বাংলাদেশে ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রী আপাতত ৯ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানোর পক্ষে মত দিয়েছেন৷ ভিডিও কনফারেন্সে তিনি বলেন, ‘‘আমাদের ২৬ মার্চ থেকে ছুটি ছিল৷ কোয়ারান্টিন (১৪ দিনের) কত তারিখ পর্যন্ত হবে? ৯ তারিখ পর্যন্ত৷ তাহলে বোধহয় আমাদের এই ছুটিটা সীমিত আকারে বাড়াতে হবে৷''
সেই সঙ্গে সীমিত আকারে যোগাযোগ ব্যবস্থা চালুর কথাও জানান শেখ হাসিনা৷ ‘‘যোগাযোগ ব্যবস্থাটা চালু করার জন্য সেখানে আমরা চিন্তাভাবনা করেই করব, কোনো কোনো ক্ষেত্রে আমরা সেখানে ছাড় দেব'', বলেন তিনি৷
নববর্ষের আয়োজন বন্ধ
প্রধানমন্ত্রী দেশব্যাপী বাংলা নববর্ষ উদযাপন বন্ধ রাখার পক্ষেও মত দেন৷ তিনি বলেন, ‘‘নববর্ষের অনুষ্ঠান আমি মনে করি ডিজিটাল পদ্ধতিতেই আপনারা করতে পারেন৷ সেখানে সবাই যথাযথ আকারে করুন৷ কিন্তু বিশাল জনসমাগম করে এই অনুষ্ঠান সারা বাংলাদেশে সম্পূর্ণ বন্ধ রাখতে হবে৷ এটা আমার বিশেষ অনুরোধ৷’’
ইংরেজি পঞ্জিকা অনুযায়ী ১৪ এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে নতুন বাংলা বছর ১৪২৬৷ নববর্ষকে ঘিরে ঢাকাসহ সারাদেশে বড় ধরনের জনসমাগম ঘটে৷ প্রধানমন্ত্রী সেসব আয়োজন বন্ধের ঘোষণা দিতে গিয়ে বলেন, ‘‘কষ্ট বেশি লাগছে আমার৷ এটা ঠিক যে নববর্ষের উৎসব এটা আমরাই শুরু করেছিলাম অনেক বাধা, বিঘ্ন অতিক্রম করে৷ কিন্তু আজকে সেটাও আমাকে বন্ধ রাখতে হচ্ছে৷’’
‘‘মানুষের কল্যাণের দিকে তাকিয়েই কিন্তু এটা আমি বন্ধ রাখছি৷ কাজেই নববর্ষের অনুষ্ঠান আপনারা করবেন না৷ এটা আপনারা মনে রাখবেন৷’’
এফএস/এডিকে (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)