1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ছয় জাতির সাথে আলোচনায় বসতে রাজি ইরান

৩০ অক্টোবর ২০১০

এক বছরেরও বেশি সময় পর প্রথমবারের মতো আলোচনায় বসতে প্রস্তুতির কথা জানালো ইরান৷ তবে তা হতে পারে ১০ নভেম্বরের পর যে কোন সময়৷ এদিকে, বলিভিয়ার পারমাণবিক কর্মসূচির জন্য ইরানের সহায়তার কথা প্রকাশ করলেন এবো মরালেস৷

https://p.dw.com/p/PuX5
European, Union, High Representative, Foreign Affairs, British, Catherine Ashton, সাইদ জালিলি, ইরান, পরমাণু, কর্মসূচি
ক্যাথরিন অ্যাশ্টন এবং সাইদ জালিলিছবি: picture-alliance/dpa/DW-Fotomontage

ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক প্রধান ক্যাথরিন অ্যাশ্টন জানিয়েছেন, ১০ নভেম্বরের পর উভয় পক্ষের সুবিধামত সময় এবং স্থানে ছয় জাতির সাথে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত ইরান৷ ইরানের পরমাণু কর্মসূচি বিষয়ে প্রধান মধ্যস্থতাকারী সাইদ জালিলির কাছ থেকে এই মর্মে চিঠি পেয়েছেন বলে জানান অ্যাশ্টন৷ এর আগে চলতি মাসের শুরুতে নভেম্বরের ১৫ থেকে ১৭ তারিখ পর্যন্ত তিনদিনের আলোচনার জন্য জালিলিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন অ্যাশ্টন৷ সম্ভবত সেই আমন্ত্রণের জবাবেই জালিলির ইতিবাচক চিঠি, মনে করছেন বিশ্লেষকরা৷ অ্যাশ্টন ব্রাসেলসে সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘আমি মনে করি এটি একটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি৷''

আলোচনায় বসার ক্ষেত্রে তেহরানের প্রস্তুতিকে স্বাগত জানিয়েছেন জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডো ভেস্টারভেলে৷ তবে শুধু ইঙ্গিত নয় বরং আলোচনার সুস্পষ্ট বিষয়বস্তুর উপর জোর দিলেন ভেস্টারভেলে৷ বার্লিনে তিনি বলেন, ‘‘প্রধান বিষয় হচ্ছে এটি হতে হবে সুস্পষ্ট বিষয়ভিত্তিক আলোচনা৷ কারণ এর বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করেই এটিকে বিবেচনা করা হবে৷''

তেহরানের এমন ইতিবাচক সাড়ার ব্যাপারে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র পি জে ক্রাউলি বলেন, ‘‘আমরা আশা করি যে, ইরান অর্থপূর্ণ আলোচনার জন্য বৈঠকে বসবে৷'' ফরাসি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ব্যার্না ভালেরো প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘‘এই আলোচনাকে অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে নিতে হবে৷ আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী যে বিষয়গুলোকে মারাত্মকভাবে নিচ্ছে সেগুলো নিয়ে আলোচনা হতে হবে, যাতে করে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নগুলোর জবাব বেরিয়ে আসে৷''

যাহোক, ইউরোপীয় ইউনিয়নের এক কূটনীতিক আভাস দিয়েছেন যে, আসন্ন বৈঠক ভিয়েনার বদলে বরং জেনেভায় বসবে বলে মনে করছেন তিনি৷ তিনি আরো বলেন, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির উপর বিস্তারিত আলোচনাসহ যেসব বিষয় থাকতে পারে এই তিন দিনের বৈঠকে তা তৈরি রয়েছে৷

এদিকে, বলিভিয়ার প্রেসিডেন্ট এবো মরালেস স্বীকার করলেন যে, তাঁর দেশে শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক কর্মসূচির জন্য সহায়তা করবে ইরান৷ অবশ্য তাঁর দেশের পারমাণবিক পরিকল্পনা সুস্পষ্ট করে তুলে না ধরলেও তিনি জানান যে, একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপন করবে এবং কিছু বিদ্যুৎ তারা রপ্তানিও করবে৷ মরালেস আরো জানান, সাম্প্রতিক ইরান সফরের সময় তিনি এই সহযোগিতার ব্যাপারে ইরানের সাথে সমঝোতা স্মারকও স্বাক্ষর করেছেন৷ যার আওতায় বলিভিয়ায় লিথিয়াম ব্যাটারি উৎপাদনে সহায়তা করবে তেহরান৷

প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য