জঙ্গিবাদ উত্থানের প্রতিবাদ
১ আগস্ট ২০১৬ইসলামি উগ্রপন্থার উত্থানের বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ঢাকা এবং অন্যান্য শহরের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের লক্ষাধিক শিক্ষার্থী প্রতিবাদে অংশ নেয়৷ প্রতিবাদকারীদের হাতে ছিল ‘‘জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ'' এবং ‘‘আমরা শান্তি চাই: সন্ত্রাসবাদের কোনো জায়গা নেই'' ব্যানার৷
প্রতিবাদ কর্মসূচির আয়োজকরা জানিয়েছেন, তারা বিশেষভাবে চাচ্ছিলেন শিক্ষার্থীরা সোমবার প্রতিবাদে নেতৃত্ব দিক৷ কেননা, গতমাসে দুই হামলায় সন্দেহভাজনরা অধিকাংশই শিক্ষার্থী এবং বয়সে তরুণ ছিল৷
আয়োজকদের একজন, তানভীর শাকিল জয় বলেন, ‘‘আমরা যে-কোনো ভাবাদর্শভিত্তিক উগ্রপন্থার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছি৷ আমরা সন্ত্রাসবাদের তীব্র নিন্দা জানাই৷'' ক্ষমতাসীন দলের এই সাবেক আইনপ্রণেতা আরো বলেন, ‘‘আমি অত্যন্ত উৎসাহ বোধ করছি এজন্য যে আজকের প্রতিবাদ কর্মসূচিতে ছেলেমেয়ে নির্বিশেষে অনেক শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছে৷''
ঢাকার পঞ্চাশটি স্থানে এবং জেলা সদর সহ বড় শহরগুলোতে একসঙ্গে এই প্রতিবাদের আয়োজন করা হয় বলেও জানান জয়৷ বার্তা সংস্থা এপি'কে টেলিফোনে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে একটি গণসাক্ষর কর্মসূচিও পরিচালনা করা হচ্ছে৷
প্রসঙ্গত, সন্দেহভাজন ইসলামি জঙ্গিরা গতমাসে ঢাকার একটি রেস্তোরাঁয় হামলা চালিয়ে বিশ ব্যক্তিকে হত্যা করে, যাদের মধ্যে সতেরজনই ছিলেন বিদেশি নাগরিক৷ এরপর এক ঈদের জামাতে হামলায় প্রাণ হারায় তিন ব্যক্তি৷ উভয় হামলার দায় স্বীকার করেছে তথাকথিত আন্তর্জাতিক জঙ্গি গোষ্ঠী ‘ইসলামিক স্টেট৷' তবে দেশটির সরকার এসব হামলার পেছনে স্থানীয় জঙ্গী গোষ্ঠী ‘জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ' জড়িত বলে জানিয়েছে৷
এদিকে, গত সপ্তাহে ঢাকার কল্যাণপুরে পুলিশের রেইডে নয় সন্দেহভাজন জঙ্গি নিহত হয়েছে, যাদের অধিকাংশই বয়সে তরুণ৷ দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উগ্রপন্থিদের দমনের অঙ্গীকার করেছেন এবং জঙ্গিবাদের কুফল সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন৷
মুসলিমপ্রধান বাংলাদেশের জনসংখ্যা প্রায় ১৬ কোটি৷ ‘ব্রিটিশ কমন ল' ভিত্তিক সংসদীয় গণতন্ত্র চালু রয়েছে দেশটিতে৷ তবে স্থানীয় বিভিন্ন উগ্রইসলামপন্থি গোষ্ঠী সেখানে ইসলামি শরিয়া আইন প্রতিষ্ঠা করতে চায়৷
এআই / জেডএইচ (এপি)