প্রশ্ন আওয়ামী লীগের
১০ অক্টোবর ২০১৩দৈনিক প্রথম আলোর জরিপ অনুযায়ী এখন নির্বাচন হলে বিএনপি-কে ৫০.৩ শতাংশ মানুষ ভোট দেবে৷ আর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে দেবে ৩৬.৫ শতাংশ মানুষ৷ জাতীয় পার্টি ৭ শতাংশ এবং জামায়াতে ইসলামী ২.৯ শতাংশ ভোট পাবে৷
তবে এই জরিপ এবং এর স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আওয়ামী লীগ নেতা ও দপ্তরবিহীন মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এমপি৷ তাঁর মতে, জরিপকারী সংস্থা এবং এর পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন আছে৷ তিনি বলেন, ‘‘প্রথম আলোর বিচ্ছুরণ কখন কোন দিকে যায় তা বোঝা মুশকিল৷ প্রথম আলো সবার আলো নয়৷ প্রথম আলো বিএনপি-র আলো৷ তাদের জরিপ গ্রহণযোগ্য নয়৷''
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত আরও বলেন, ‘‘তবে বিএনপি যদি এই জরিপ বিশ্বাস করে, তাহলে তাদের নির্বাচনে আসা উচিত৷ খালেদা জিয়া যদি এই জরিপ শতভাগ বিশ্বাস করেন তাহলে তাঁর কালই নির্বাচনে আসার ঘোষণা দেয়া উচিত৷'' তিনি বিএনপি নেত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘‘২৪শে অক্টোবরের পর দেশ স্বাভাবিকই থাকবে, অচল হবেনা৷ আর নির্বাচনও হবে যথা সময়ে৷ কোনো নৈরাজ্যের পরিকল্পনা করে লাভ নেই, তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর ফিরে আসবেনা৷''
এদিকে বিএনপি-র স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশররফ হোসেন বলেন, ‘‘এই জরিপে জনমতের প্রতিফলন ঘটেছে৷ দেশের মানুষ আর এই সরকারকে চায়না৷ আর এটা বুঝতে পেরেই বিএনপিকে বাদ দিয়ে একতরফা নির্বাচন করতে চাইছে সরকার৷'' একতরফা নির্বাচন করার চেষ্টা হলে তার পরিণতি ভাল হবেনা বলে তিনি মন্তব্য করেন৷ তিনি বলেন, দেশের মানুষ ভোট দিয়ে বিএনপিকে ক্ষমতায় নিতে প্রস্তুত৷ দেশের মানুষকে সেই সুযোগ দিতে হবে৷
খন্দকার মোশাররফ আরও বলেন, সরকার তত্ত্বাবধায়ক না দিয়ে নিজেদের অধীনে নির্বাচন করতে চায়৷ কেন চায়, তা জরিপে স্পষ্ট হয়েছে৷ তাই দেশের ‘৯০ ভাগ মানুষের দাবি' তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে এনে তাদের ভোটের অধিকারকে নিশ্চিত করতে হবে৷
এদিকে জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষক পরিষদ – জানিপপ-এর প্রধান অধ্যাপক ড. নাজমূল আহসান কলিমুল্লাহ ডয়চে ভেলেকে বলেন, যে কোনো জরিপ নিয়েই প্রশ্ন তোলা যায়৷ কারণ জরিপের নানা সীমাবদ্ধতা থাকে৷ কিন্তু তারপরও এই জরিপের ফলফল বাস্তবতার কাছাকাছি বলেই তিনি মনে করেন৷ তাঁর মতে, নির্বাচনই প্রমাণ করবে আসলে কোন দল জনপ্রিয়তায় এগিয়ে আছে৷ কিন্তু সে জন্য নির্বাচন স্বচ্ছ এবং নিরপেক্ষ হওয়া প্রয়োজন৷ সরকারের উচিত সব দলের অংশগ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের আয়োজন করা, একতরফা নয়৷