জলজট হলেও পানি দ্রুত সরে যাচ্ছে: মেয়র আতিক
২৯ জুন ২০২৩বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে জাতীয় ঈদগাহে ঈদের জামাত শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে এসব কথা বলেন তিনি।
উত্তরার বাসা থেকে জাতীয় ঈদগাহে আসার সময় রাস্তায় পরিস্থিতি দেখে তিনি বলেন, "আগে বৃষ্টি হলে বিভিন্ন স্থানে আটকে যেতে হতো। এবার উত্তরার বাসা থেকে বৃষ্টির মধ্যেও জাতীয় ঈদগাহে আসতে পেরেছেন। যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে রাস্তায় সে পরিমাণ জলজট হলেও পানি নেমে গেছে।"
কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে এলাকাবাসীর সহযোগিতা চেয়েছেন মেয়র আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, "আমরা প্রত্যেককে পলিথিন দিয়েছি। দয়া করে বর্জ্য নির্দিষ্ট স্থানে ফেলে দেবেন।"
কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে এবার উত্তর সিটিতে প্রায় ১১ হাজার শ্রমিক কাজ করছেন। এসব শ্রমিককে সাহায্য করতে স্থানীয় বাসিন্দাদের অনুরোধ জানান তিনি। দ্রুত বর্জ্য অপসারণে করপোরেশনের কর্মকর্তারা মাঠে থাকবেন। এ জন্য নিয়ন্ত্রণকক্ষ চালু করা হয়েছে। পশুর বর্জ্য অপসারণ করতে কেউ সহযোগিতা চাইলে নিয়ন্ত্রণকক্ষে যোগাযোগ করতে পারবেন।
ডেঙ্গু পরিস্থিতি বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র বলেন, "কোরবানি দিয়ে অনেকেই বাড়ি চলে যাবেন। বাড়ি যাওয়ার আগে যেসব পাত্রে পানি জমে, তা উল্টে রেখে যেতে হবে। এটা সবার জন্য সহায়ক হবে। ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে নগরবাসীকেও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে।"
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসও জাতীয় ঈদগাহে নামাজ আদায় করেন। ঈদগাহে প্রধান জামাতে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী উপস্থিত থাকেন। ঈদের জামাতে ইমামতি করেন তেজগাঁও রেলওয়ে জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মুশতাক আহমেদ। ঈদের জামাত শেষে মোনাজাতের পর ঢাকার দুই সিটির মেয়র গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন। এরপরই একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে শুভেচ্ছা বিনিময় শুরু করেন।
ঈদের জামাত শেষে মেয়র আতিকুল ইসলামের সঙ্গে অনেককেই সেলফি তুলতে দেখা যায়। কোলাকুলি শেষে মেয়র তাদের পরিবারের খোঁজখবর নেন। মুসল্লিদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিপুলসংখ্যক সদস্যের দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়।
জেকে/কেএম (প্রখম আলো)