জিম্মি জেলেরা
১৬ আগস্ট ২০১২দক্ষিণ উপকূলীয় জেলা বরগুনা, পিরোজপুর, বাগেরহাট এবং খুলনার শত শত জেলের জীবন ও জীবিকার একমাত্র অবলম্বন সুন্দরবন সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর৷ তারা বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরেই জীবিকা নির্বাহ করেন৷ এবার ইলিশ কম ধরা পড়ায়, এমনিতেই তাদের মাথায় হাত৷ তার ওপর গত একমাস ধরে চলছে জলদস্যুদের অত্যাচার৷ গত এক মাসে তারা কমপক্ষে ৩০০ জেলেকে বঙ্গোপসাগর থেকে অপরহরণ করেছে মুক্তিপণের দাবিতে৷ আর গত সপ্তাহে অপহরণ করেছে ৫০ জনকে ৷ যা ডয়চে ভেলেকে জানান, উপকূলীয় জেলে সমিতির সভাপতি আব্দুল মান্নান মাঝি৷ তিনি জানান, বঙ্গোপসাগরের পাঁচ থেকে ছয়টি জলদস্যু গ্রুপ কাজ করে৷ কোস্ট গার্ডকে জানিয়েও তেমন কোনো কাজ হয়না৷
তিনি জানান, অপহৃতদের পরিবারে এখন চলছে শোকের মাতম৷ তারা জানেন না স্বজনদের আর ফিরে পাবেন কিনা৷
স্থানীয় সাংবাদিক মোখলেসুর রহমান মিঠু জানান, এই জলদস্যুরা অনেক শক্তিশালী৷ তাদের রয়েছে আধুনিক যানবাহন এবং আগ্নেয়াস্ত্র৷
অপহৃত জেলেদের উদ্ধারে গত পাঁচ দিন সুন্দরবন এবং বঙ্গোপসাগরে কোস্ট গার্ড ও নৌ-বাহিনী যৌথ অভিযান চালিয়েছে৷ এই অভিযানে নৌ-বাহিনীর তিনটি জাহাজও ব্যবহার করা হয়েছে৷ কিন্তু একজন জেলে ও একটি জেলে নৌকা উদ্ধার করা ছাড়া আর কোনো ফল আসেনি৷ তবে কোস্ট গার্ডের পশ্চিম জোনের কমান্ডার লে. কমান্ডার মামুন উর রশীদ ডয়চে ভেলকে জানান যে, এই অভিযানের ফলে জলদস্যুরা ভয় পেয়েছে৷ তারা এখন জেলেদের ছেড়ে দিতে শুরু করেছে৷
তিনি জানান, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে তাদের অভিযান এখন বন্ধ আছে৷ তবে টহল চলছে৷ আর আবহাওয়া ভালো হলে তারা বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার নিয়ে জলদস্যুদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাবেন৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ