জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব শুরু, বাড়ছে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা
৭ সেপ্টেম্বর ২০১০জলবায়ু ঝুঁকিসূচক অনুযায়ী বাংলাদেশের অবস্থান হচ্ছে প্রথম, উত্তর কোরিয়ার দ্বিতীয়, নিকারাগুয়ার তৃতীয়, ওমানের চতুর্থ এবং পাকিস্তানের পঞ্চম৷ এক কথায় বলে দেয়া যায় যে, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রথম শিকার বাংলাদেশ৷ বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে ইতিমধ্যেই৷ লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, বাংলাদেশে মৌসুমি ঋতু অতিমাত্রায় অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে৷ তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে আবহাওয়া পরিবর্তিত হচ্ছে এবং ঋতু তার স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য হারাচ্ছে৷ ফলে নানা ধরনের দুর্যোগ আঘাত হানছে৷ এক কথায় বলা যায়, মানুষের জানমালের উপর প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে তা৷
এই সব বিষয় নিয়েই জার্মানির হানোফারে গত সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হল ‘জলবায়ু পরিবর্তন: বাংলাদেশ ইউরোপ সংলাপ৷' ‘ডাংগুলি' নামের একটি সংগঠনের আয়োজনে এই অনুষ্ঠানটি ছিল দুই দিনের৷ বাংলাদেশ এবং জার্মানি ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে থাকা প্রবাসী বাঙালি এবং জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক বিশেষজ্ঞরা এসেছিলেন এখানে৷ এদেরই একজন ড. সিরাজুল ইসলাম ৷ তিনি ঢাকার নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিষয়ক শিক্ষক৷ জাতিসংঘের একটি বৃত্তির আওতায় তিনি আছেন জার্মানিতে৷ তাঁকে জিজ্ঞাস করেছিলাম, বাংলাদেশের সুশীল সমাজ জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে যে কাজ করছে তা কি পর্যাপ্ত? তিনি জানালেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি মোকাবিলায় সরকারের পাশাপাশি সুশীল সমাজ বেশ কাজ করছে৷ তবে তাদের উচিৎ হবে গুছিয়ে কাজ করা৷ আন্তর্জাতিক সমাজে বাংলাদেশের বিষয়ে আরও দৃষ্টি আকর্ষন করতে তাদেরকে কাজ করতে হবে৷ বোঝাতে হবে জনগণকে৷
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ডুবে যাবে সমুদ্র উপকূলবর্তী অনেক এলাকা৷ উপকূল আক্রান্ত হবে মাটি ও পানি লবণাক্ততায়৷ এটি নাকি আর ভবিষ্যৎ নয়, বর্তমান৷ সমুদ্রের উচ্চতা বাড়তে শুরু করেছে বলে জানালেন ড. সিরাজুল ইসলাম৷ তিনি বললেন, বিশেষজ্ঞরা যেমনটা বলছেন যে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ছে, এটা সঠিক৷ এর প্রমাণও মিলছে৷ সমুদ্রের উচ্চতা ইতিমধ্যেই বাড়তে শুরু করেছে৷ বাংলাদেশে এর প্রভাবও পড়ছে৷
জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকার ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে৷ এ বিষয়ে ড. সিরাজুল ইসলামের মত, সরকার যে সব উদ্যোগ নিয়েছে, তা অনেকাংশেই ভালো৷ তবে এগুলোর সঠিক বাস্তবায়ন প্রয়োজন৷
প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন