জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব
১২ এপ্রিল ২০০৮ধি পাবে কমপক্ষে ১৮ সেন্টিমিটার৷ ফলে উত্তর ও দক্ষিণ মেরুর বরফ গলতে শুরু করলে, দেখা দেবে ভয়ানক বন্যা৷ যাতে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে অসংখ্য ব-দ্বীপ, এমনকি বাংলাদেশের মতো দেশও৷
কিন্তু, এখানেই শেষ নয়৷ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গু জ্বরের মতো রোগ বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হিসেবেও নাকি কাজ করছে জলবায়ু পরিবর্তন৷ আর এসব রোগসহ বন্যা ও অপুষ্টিতে প্রতিবছর মারা যাচ্ছে প্রায় দেড়লাখ মানুষ৷ জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা WHO৷
WHO-র ওয়েস্টার্ন প্যাসিফিক কার্যালয়ের প্রধান, শিগেরু অমি জানিয়েছেন, যে বিশ্বে প্রতি বছর কমপক্ষে দেড় লক্ষ মানুষ ম্যালেরিয়া, ডায়রিয়া, অপুষ্টি ও বন্যার কারণে মারা যাচ্ছে এবং এসব বিষয়ের সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনের সম্পর্ক খুঁজে বের করা সম্ভব৷ বিশ্বে প্রতিবছর শুধু ম্যালেরিয়াতেই মারা যায় প্রায় ১ লক্ষ মানুষ৷ আপনাদের তো আগেই বলেছি, যে তার মধ্যে প্রায় অর্ধেকের বেশি এশিয়ার অধিবাসী৷ ওয়েস্টার্ন প্যাসিফিক কার্যালয়ের প্রধান, শিগেরু অমি বলেন, যে আশ্চর্যজনকভাবে, ম্যালেরিয়ার জীবাণু বহনকারী মশা বর্তমানে এমন সব জায়গায় দেখা যাচ্ছে, যেখানে আগে ম্যালেরিয়া ছিলই না৷ সেই কর্মকর্তা আরও বলেন, যে ডেঙ্গুর ক্ষেত্রে অন্যান্য বিষয় এবং মশা বেড়ে যাওয়ারও অন্য অনেক কারণ রয়েছে৷ কিন্তু, এরপরেও তিনি নিশ্চিত যে, অন্যান্য কারণের মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তন একটা ভূমিকা রাখছে৷
WHO-র হিসাবে প্রতিবছর বিশ্বে প্রায় ৫ কোটি মানুষ ডেঙ্গু রোগ সংক্রমণের শিকার হন৷ এদের প্রায় ৫ লক্ষ মানুষের চিকিত্সার জন্য হাসপাতালে যেতে হয় এবং কমপক্ষে ১২,৫০০ জনের সংক্রমণ মারাত্মক আকার ধারণ করে৷ তাই, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে স্বাস্থ্য সমস্যা সম্পর্কে বিভিন্ন দেশের সরকার ও জনগণকে সচেতন করতে WHO-ও প্রায় এক কোটি ডলারের একটি কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বলেও জানান শিগেরু অমি৷
ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা বৃদ্ধি এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে আর কি কি হতে পারে ? এ-সম্পর্কে জানতে এবার আমরা কথা বলেছি বর্তমানে ইংল্যান্ডে বসবাসকারী ভূতত্ত্ববিদ ড. পায়েল দেব রায়ের সঙ্গে৷