জলবায়ু বিক্ষোভের ১০টি শক্তিশালী স্লোগান
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সম্পর্কে বিশ্ববাসী, বিশেষ করে শিক্ষার্থীরা সচেতন হয়ে উঠছেন৷ ফলে এটি মোকাবিলার পর্যাপ্ত উদ্যোগ না নেয়ার প্রতিবাদে শামিল হচ্ছেন তারা৷
‘জলবায়ুর জন্য স্কুল ধর্মঘট’
২০১৮ সালের নভেম্বরের কোনো এক শুক্রবারে সুইডেনের সংসদের সামনে তোলা এই ছবিটি এখন আইকনিক ছবিতে পরিণত হয়েছে৷ ১৫ বছর বয়সি স্কুল শিক্ষার্থী গ্রেটা টুনব্যার্গের হাতে ধরা কাগজে লেখা ‘জলবায়ুর জন্য স্কুল ধর্মঘট’৷ প্রতি শুক্রবার তিনি স্কুলে না গিয়ে এই কাজ করতেন৷ গ্রেটার আন্দোলন এখন সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে৷
‘ধরিত্রী বললো আমিও’
২০১৭ সালে জার্মানির বার্লিনে কয়লাবিরোধী এক বিক্ষোভের স্লোগান ছিল এটি৷ নারীদের যৌন হয়রানির প্রতিবাদের আন্দোলন হচ্ছে ‘মিটু’৷
‘আমরা টাকা খেতে পারি না’
২০১৯ সালের এপ্রিলে লন্ডনের বাণিজ্যিক এলাকায় বিক্ষোভের ছবি এটি৷ আয়োজক ছিল ‘এক্সটিঙ্কশন রেবেলিয়ন’ নামের পরিবেশবাদী এক সংগঠন৷
‘সীমান্ত পোড়াও... কয়লা নয়’
জার্মানির হামবাখে কয়লা খনির কারণে পাশের বনজঙ্গলের ক্ষতি হচ্ছিল৷ তার প্রতিবাদে গতবছর অক্টোবরে বিক্ষোভ হয়৷ এই স্লোগানের মধ্য দিয়ে কয়লাবিরোধী বার্তার সঙ্গে রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক অর্থ জুড়ে দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে৷
‘আপনারা বড়দের মতো আচরণ না করলে আমরা করবো’
সুইডিশ শিক্ষার্থী গ্রেটা টুনব্যার্গের উদ্যোগে শুরু হওয়া ‘ফ্রাইডেস ফর ফিউচার’ আন্দোলনের অংশ এটি৷ চলতি বছরের ১৫ মার্চ হংকংয়ে অনুষ্ঠিত স্কুল শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের ছবি এটি৷
‘অস্বীকার করা কোনো নীতি নয়’
এই ছবিটিও চলতি বছরের ১৫ মার্চের৷ তোলা হয়েছে সাউথ আফ্রিকার কেপ টাউনে৷ এই স্লোগান ছাড়াও ‘অস্বীকার করা বন্ধ করুন! আমাদের পৃথিবী মরে যাচ্ছে’ শীর্ষক স্লোগান দেন শিক্ষার্থীরা৷
‘আপনাদের হাতে আমাদের ভবিষ্যৎ’
বার্লিনে প্রতিবাদের সময় বিক্ষোভকারীরা প্ল্যাকার্ড ছাড়াও নিজেদের শরীরে নানান স্লোগান লিখে নিয়ে এসেছিলেন৷
‘পরিণতি আছে’
স্লোগানটি ভালো করে খেয়াল করুন৷ ইংরেজি ‘কনসেকোয়েন্স’ শব্দটি লেখার সময় প্রথম দুই বর্ণ ‘সি’ আর ‘ও’ এর পর ‘এন’ লেখার আগে ছোট্ট করে ‘টু’ বসানো হয়েছে, যার অর্থ হচ্ছে কার্বন ডাই-অক্সাইড৷ জার্মানির আখেন শহরে গত জুনের প্রতিবাদের ছবি এটি৷
‘প্ল্যানেট বি নেই’
২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত জলবায়ু সম্মেলনে জাতিসংঘের সেই সময়কার মহাসচিব বান কি-মুন বলেছিলেন, ‘‘প্ল্যান বি বলে কিছু নেই, কারণ, আমাদের প্ল্যানেট বি নেই৷’’ এরপর থেকে এই বার্তাটি বিক্ষোভকারীদের কাছে জনপ্রিয় স্লোগান হয়ে ওঠে৷
‘এখন বিক্ষোভ কর, নইলে পরে সাঁতার কাটতে হবে’
জার্মানির হামবুর্গে ১ মার্চের এই বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন গ্রেটা টুনব্যার্গ৷ তার কয়েকদিন আগে ডাভোস ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক নেতাদের তিনি বলেছিলেন, ‘‘আমি চাই আপনার আতঙ্কিত হোন৷ আমি চাই আমি প্রতিদিন যে ভয় অনুভব করি, আপনারাও সেটা পান৷ এবং তারপর আমি চাই আপনারা উদ্যোগ নিন৷’’