1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জলবায়ু সম্মেলনে বাংলাদেশের ন্যায্য সুবিধা পাওয়া নিয়ে শঙ্কা

৭ ডিসেম্বর ২০০৯

সময়ের সাথে সাথে কখনও গরম কখনও মেঘ৷ এই বছর বন্যা হলে পরের বছর খরা৷ এলাকা ভেদে কালবৈশাখী বা ঘূর্ণিঝড়ের ফিরে আসার সম্ভাব্য পূর্বাভাসসহ ইত্যাদি নানা ব্যাপার স্যাপার বাংলাদেশের মানুষের জীবন যাত্রার সাথে মিশে আছে৷

https://p.dw.com/p/Ktpi
ফাইল ফটোছবি: DW

অথচ হঠাৎ করেই যেন কেমন একটা উলোট পালট৷ গত কয়েক বছর ধরেই বৃষ্টিহীন দীর্ঘ গ্রীষ্ম, শীতের দিনে শীত নেই৷ মৌসুমি বায়ুও গতি হারিয়ে সময়মত আসে না বাংলাদেশে৷ বিজ্ঞানীরা এই ওলোট পালটকে বলছেন, বায়ুমন্ডলের দ্রুত উষ্ণায়নের কারণে জলবায়ুর পরিবর্তন৷ জলবায়ু বিশেষজ্ঞ ড. আহসান উদ্দিন আহমেদ বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে উপকূলের কৃষি এলাকায় ব্যাপক পরিবর্তন ঘটবে এবং একাধিক সমস্যা তীব্র আকার ধারণ করবে৷

এই পরিবর্তন যে ধীরে ধীরে আসছে তা নিয়ে কথাবার্তা হচ্ছিল বেশ কয়েক বছর ধরেই৷ তবে ২০০৭-এ ইন্দোনেশিয়ার বালিতে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের জলবায়ু সংক্রান্ত কনফারেন্সে বিশ্ব নেতৃবৃন্দ একমত হন যে ধীরে নয়, বরং ধেয়ে আসছে এই ওলোট পালট৷ এর কারণে সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে গিয়ে সমুদ্র তীরবর্তী অনেক দেশ সাগরে বিলীন হয়ে যাবে৷ কোথাও কোথাও হবে চরম খরা৷ অভাব হবে পানির আর ক্ষতিগ্রস্ত হবে কৃষি৷ আর এর জন্য দায়ী বায়ুমন্ডলের ছেড়ে দেওয়া কার্বনসহ গ্রিন হাউজ গ্যাস৷ গত প্রায় দেড়শ' বছরে যার প্রায় পুরোটাই ছেড়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আর বায়ুমন্ডলে এই বড় দেশের অবিচারের সবচেয়ে নাজুক শিকার বিশ্বের মানচিত্রের ছোট্ট এই দেশ বাংলাদেশ৷ ফলে জলবায়ু সম্মেলনের বিশ্ব ফোরামে সবাই যখন ন্যয্য সুবিধার কথা বলবে তখন কি হবে বাংলাদেশের অবস্থান? জাতিসংঘের জলবায়ু বিষয়ক প্যানেলের সদস্য ড.কাজি খালিকুজ্জামান বলেন, এই সম্মেলনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টও আসছেন৷ ফলে এই সম্মেলন খুবই গুরুত্বপুর্ণ৷

প্রতিবেদক: সমীর কুমার দে, ঢাকা

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক