জলবায়ু সুরক্ষায় জনগণের কণ্ঠ
সপ্তাহান্তে সারা বিশ্বে লক্ষ লক্ষ মানুষ শহরে-নগরে পথে নামেন, প্রতিবাদ জানাতে৷ তারা চান জলবায়ু পরিবর্তন রোখার জন্য তেল-কয়লার জ্বালানি থেকে সরে আসা৷
ঢাকা: প্রতিবাদের জোয়ার
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে যে সব দেশ সবচেয়ে বিপদগ্রস্ত, তাদের মধ্যে প্রথম সারিতে আছে বাংলাদেশ৷ ঢাকার রাস্তায় ছাত্ররা বের হন তাদের প্রতিবাদ জানাতে৷
প্যারিস: আমরা আসতে চেয়েছিলাম...
জলবায়ু শীর্ষবৈঠক উপলক্ষ্যে প্যারিসে একটা বড় প্রতিবাদ সমাবেশের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল – ১৩ই নভেম্বরের প্যারিস সন্ত্রাসের পর যা সম্ভব হয়নি৷ যারা প্রতিবাদ জানাতে চেয়েছিলেন, তাদের প্রতীক হিসেবে প্লাস দ্য লা রেপুবলিক চত্বরে হাজার হাজার জুতো রেখে যাওয়া হয়৷ তার মধ্যে জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি-মুন ও পোপ ফ্রান্সিসের জুতোও ছিল৷
লন্ডন: তেল-কয়লা মাটির নীচেই থাকুক
লন্ডনের প্রতিবাদ সমাবেশে এসেছিলেন ৫০ হাজার মানুষ৷ তারা চান ভবিষ্যতে শুধুমাত্র পরিবেশ বান্ধব জ্বালানি ব্যবহার করা হোক৷ রাজনীতি, শিল্পবাণিজ্য ও সুশীল সমাজের প্রতি তাদের এই দাবি৷
মেলবোর্ন: কয়লা চাই না
মেলবোর্নের পিপলস ক্লাইমেট মার্চ দিয়ে বিশ্বব্যাপী প্রতিবাদের সূচনা৷ ধ্বনি ছিল: ‘‘বলো, কয়লা চাই না, চাই সৌরশক্তি৷’’
জোহানেসবার্গ: কয়লা মানে মৃত্যু
জোহানেসবার্গে আন্দোলনকারীদের দাবি ছিল, কয়লার ব্যবহার বন্ধ করো৷ দক্ষিণ আফ্রিকায় এখনও কয়লা পুড়িয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়৷ পরিবেশ সংরক্ষণকারীরা চান বায়ুশক্তি আর সৌরশক্তি৷
কিয়েভ: জলবায়ু বাঁচাও
‘‘ফাঁকি দিও না – জলবায়ু বাঁচাও’’, ইউক্রেনের রাজধানীতে এই ছিল বিক্ষোভকারীদের দাবি৷ তারা চান ভবিষ্যতে শুধুমাত্র নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার করা হোক৷ ইউক্রেনের মানুষ চেরনোবিল পারমাণবিক দুর্ঘটনাকে ভোলেননি৷ অপরদিকে তাদের কয়লা, গ্যাস ও বিদ্যুতের একটা বড় অংশ আসে রাশিয়া থেকে৷
রোম: নির্মল ভবিষ্যৎ
‘চাই নির্মল ভবিষ্যৎ’, ‘চাই শতকরা একশো ভাগ নবায়নযোগ্য জ্বালানি’ - রোমে আন্দোলনকারীদের হাতের প্ল্যাকার্ডে এই সব লেখা ছিল৷ অথচ সৌরশক্তির হিসেবে ইউরোপীয় ইউনিয়নে জার্মানির পরেই আসে ইটালি৷ বিক্ষোভকারীরা জীবজন্তুর সাজ ধরেছেন জলবায়ু পরিবর্তন ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের মধ্যে সংযোগসূত্রটা তুলে ধরতে৷
এথেন্স: পৃথিবী বাঁচাও, ‘ভেগান’ হও
এথেন্সে আন্দোলনকারীরা জলবায়ু-বান্ধব খাদ্য উৎপাদনের দিকে নজর টানতে চেয়েছেন৷ বিশ্বের গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের এক-তৃতীয়াংশ আসে কৃষিকাজ থেকে, তার মধ্যে পশুপালন মূল অপরাধী৷ কাজেই বিক্ষোভকারীদের আহ্বান: মাংস খেও না, দুধ কিংবা দুগ্ধজাত বা প্রাণিজাত কোনোরকম খাবার খেও না৷ এক কথায়, ‘ভেগান’ হও৷
মেক্সিকো সিটি: পুঁজিবাদ বর্জন
মেক্সিকো সিটির প্রতিবাদে একটি শালুতে পুঁজিবাদকেই জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী করা হয়েছে৷
বার্লিন: তাপমাত্রা বাড়তে দিও না
জলবায়ুর পক্ষে ক্ষতিকর গ্যাস নির্গমনের দরুণ এ পর্যন্ত পৃথিবীর তাপমাত্রা বেড়েছে প্রায় এক ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড৷ বার্লিনের প্রতিবাদ মিছিলে জার্মানিতে কয়লার ব্যবহার যতো শীঘ্র সম্ভব বন্ধ করার ডাক দেওয়া হয়৷