জাতিসংঘের জাকাত ফান্ডের টাকা রোহিঙ্গা শিবিরে
২৫ মার্চ ২০২৩জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর পাঁচ বছর আগে জাকাত ভিত্তিক তহবিল চালু করে৷ সংস্থার কার্যক্রম পরিচালনায় এর অবদান ক্রমশ বাড়ছে৷ ইউএনএইচসিআরের উপসাগরীয় সহযোগিতা কাউন্সিলের দেশসমূহের প্রতিনিধি খালেদ খালিফা শুক্রবার জেনেভায় সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান৷
২০১৭ সালে এই তহবিল চালুর পর এখন পর্যন্ত জাকাত হিসেবে ২০ কোটি ডলার পেয়েছেন তারা৷ এর মধ্যে গত বছর জাকাত হিসেবে দুই কোটি ১৩ লাখ ডলার আর সদকাহ হিসেবে এসেছে এক কোটি ৬৭ লাখ ডলার৷
খালেদ খালিফা বলেন, ‘‘জাকাত ও সদকাহ থেকে গত পাঁচ বছরে আমরা মুসলিম প্রধান দেশগুলোতে ৬০ লাখ মানুষকে সহায়তা দিতে পেরেছি৷''
এই বাবদ পাওয়া সবচেয়ে বেশি তহবিল বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থী, ইয়েমেনে অভ্যন্তরীন বাস্তুচ্যুতির শিকার মানুষ এবং লেবাননে সিরিয়ার শরণার্থীদের কার্যক্রমে খরচ হয়েছে৷
সব মিলিয়ে ২৬টি দেশে থাকা শরণার্থীদের জন্য তহবিলের অর্থ খরচ করেছে সংস্থাটি৷ মুসলিম প্রধান দেশে এই অর্থ পাঠানো হলেও অনুদানের টাকা শুধু মুসলিমদের জন্য খরচ হয় না বলে জানান খালেদ খালিফা৷ সুবিধাভোগীদের তারা ধর্ম দিয়ে বিভাজন করেন না বলে উল্লেখ করেন তিনি৷
ইউএনএইচসিআরের জাকাত তহবিলের পরিমাণ বাড়লেও শরণার্থী সংস্থাটির কয়েক শত কোটি ডলারের বাজেটের তুলনায় তা খুবই কম৷ খালিফার কথায় তা ‘সমুদ্রের এক ফোঁটা মাত্র'৷ তার উপর জমা পড়া অর্থের ১১ কোটি ডলার বা অর্ধেকের বেশি দিয়েছেন কাতারের বিনিয়োগকারী শেখ থানি বিন আব্দুল্লাহ বিন থানি আল থানি৷
খালিফা মনে করেন, বিশ্বে শরণার্থী ইস্যুতে অবদান রাখতে চাওয়া ব্যক্তি পর্যায়ের দাতাদের জন্য তহবিলটি একটি শক্তিশালী প্লাটফর্ম হয়ে উঠতে পারে৷ এক্ষেত্রে বড় দাতাদের পরিবর্তে ছোট ছোট অবদান রাখতে পারা ব্যক্তি পর্যায়ে বিরাট সংখ্যক দাতাদের উপরই বেশি নির্ভর করতে চান তারা৷ ‘‘গত বছর আমরা রমজানে দুই কোটি ডলারের বেশি সংগ্রহ করতে পেরেছি৷ আশা করছি এবার তা ছাড়িয়ে যাবে,'' বলেন ইউএনএইচসিআর এর এই প্রতিনিধি৷
উল্লেখ্য, ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটি হিসেবে বিবেচিত জাকাত৷ বিধান অনুযায়ী, প্রতি বছর মুসলিমদেরকে আয়ের আড়াই শতাংশ জাকাত দিতে হয়৷
এফএস/এআই (এএফপি)