1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জাতিসংঘের জাকাত ফান্ডের টাকা রোহিঙ্গা শিবিরে

২৫ মার্চ ২০২৩

শরণার্থীদের জন্য চালু করা জাতিসংঘের জাকাত তহবিলে মুসলিমদের অনুদান বেড়ে চলছে৷ তবে মোট অনুদানের অর্ধেকই এসেছে একজন ব্যক্তির কাছ থেকে৷ আর তার একটি অংশ যাচ্ছে বাংলাদেশের রোহিঙ্গা শিবিরে৷

https://p.dw.com/p/4PEtG
শরণার্থীদের জন্য চালু করা জাতিসংঘের জাকাত তহবিলে মুসলিমদের অনুদান বেড়ে চলছে৷ তবে মোট অনুদানের অর্ধেকই এসেছে একজন ব্যক্তির কাছ থেকে৷ আর তার একটি অংশ যাচ্ছে বাংলাদেশের রোহিঙ্গা শিবিরে৷ 
ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটি হিসেবে বিবেচিত জাকাত ছবি: Hani Alshaer/AA/picture alliance

জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর পাঁচ বছর আগে জাকাত ভিত্তিক তহবিল চালু করে৷ সংস্থার কার্যক্রম পরিচালনায় এর অবদান ক্রমশ বাড়ছে৷ ইউএনএইচসিআরের উপসাগরীয় সহযোগিতা কাউন্সিলের দেশসমূহের প্রতিনিধি খালেদ খালিফা শুক্রবার জেনেভায় সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান৷

২০১৭ সালে এই তহবিল চালুর পর এখন পর্যন্ত জাকাত হিসেবে ২০ কোটি ডলার পেয়েছেন তারা৷ এর মধ্যে গত বছর জাকাত হিসেবে দুই কোটি ১৩ লাখ ডলার আর সদকাহ হিসেবে এসেছে এক কোটি ৬৭ লাখ ডলার৷

খালেদ খালিফা বলেন, ‘‘জাকাত ও সদকাহ থেকে গত পাঁচ বছরে আমরা মুসলিম প্রধান দেশগুলোতে ৬০ লাখ মানুষকে সহায়তা দিতে পেরেছি৷''

এই বাবদ পাওয়া সবচেয়ে বেশি তহবিল বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থী, ইয়েমেনে অভ্যন্তরীন বাস্তুচ্যুতির শিকার মানুষ এবং লেবাননে সিরিয়ার শরণার্থীদের কার্যক্রমে খরচ হয়েছে৷

সব মিলিয়ে ২৬টি দেশে থাকা শরণার্থীদের জন্য তহবিলের অর্থ খরচ করেছে সংস্থাটি৷ মুসলিম প্রধান দেশে এই অর্থ পাঠানো হলেও অনুদানের টাকা শুধু মুসলিমদের জন্য খরচ হয় না বলে জানান খালেদ খালিফা৷ সুবিধাভোগীদের তারা ধর্ম দিয়ে বিভাজন করেন না বলে উল্লেখ করেন তিনি৷

ইউএনএইচসিআরের জাকাত তহবিলের পরিমাণ বাড়লেও শরণার্থী সংস্থাটির কয়েক শত কোটি ডলারের বাজেটের তুলনায় তা খুবই কম৷ খালিফার কথায় তা ‘সমুদ্রের এক ফোঁটা মাত্র'৷ তার উপর জমা পড়া অর্থের ১১ কোটি ডলার বা অর্ধেকের বেশি দিয়েছেন কাতারের বিনিয়োগকারী শেখ থানি বিন আব্দুল্লাহ বিন থানি আল থানি৷

খালিফা মনে করেন, বিশ্বে শরণার্থী ইস্যুতে অবদান রাখতে চাওয়া ব্যক্তি পর্যায়ের দাতাদের জন্য তহবিলটি একটি শক্তিশালী প্লাটফর্ম হয়ে উঠতে পারে৷ এক্ষেত্রে বড় দাতাদের পরিবর্তে ছোট ছোট অবদান রাখতে পারা ব্যক্তি পর্যায়ে বিরাট সংখ্যক দাতাদের উপরই বেশি নির্ভর করতে চান তারা৷ ‘‘গত বছর আমরা রমজানে দুই কোটি ডলারের বেশি সংগ্রহ করতে পেরেছি৷ আশা করছি এবার তা ছাড়িয়ে যাবে,'' বলেন ইউএনএইচসিআর এর এই প্রতিনিধি৷

উল্লেখ্য, ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটি হিসেবে বিবেচিত জাকাত৷ বিধান অনুযায়ী, প্রতি বছর মুসলিমদেরকে আয়ের আড়াই শতাংশ জাকাত দিতে হয়৷

এফএস/এআই (এএফপি)

রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলতে কক্সবাজারে মিয়ানমারের দল  

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য