জাতীয় ডিজিটাল উদ্ভাবনী পুরস্কার পেল ‘সামহয়্যার ইন'
১৩ জুলাই ২০১১জাতীয় ই-কনটেন্ট ও উন্নয়নের জন্য জাতীয় তথ্য প্রযুক্তি পুরস্কার'এর নাম পাল্টে রাখা হয়েছে - জাতীয় ডিজিটাল উদ্ভাবনী পুরস্কার৷ এবছর, অর্থাৎ ২০১১ সালে, এই প্রতিযোগিতার আয়োজক ছিল বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ নেটওয়ার্ক বা ডিনেট৷ এবং সংস্থাটির সহযোগিতায় ছিল বিজ্ঞান ও আইসিটি মন্ত্রণালয়৷ বাংলাদেশের যেসব বেসরকারি প্রতিষ্ঠান উদ্ভাবনী শক্তি ও প্রযুক্তির মাধ্যমে বিশেষ ভূমিকা রেখে চলেছে, তাদের কাজকে স্বীকৃতি দিতেই গত বছর থেকে এই পুরস্কার দিচ্ছে ডিনেট৷
শুধু ইন্টারনেট বা মোবাইল ফোন থাকলেই তো চলবে না৷ প্রযুক্তির এসব মাধ্যমে প্রয়োজন নানা রকম তথ্য, সমাধানের সমাহার বা কনটেন্ট'এর৷ কারণ একমাত্র তবেই, তথ্য ও যোগাযোগ-প্রযুক্তিকে (আইসিটি) দেশের জন্য, মানুষের জন্য কাজে লাগানো যায়৷ তাই ই-কনটেন্টের নানা রকম প্রকল্প নিয়ে আয়োজিত এই প্রতিযোগিতায় পুরস্কার পাওয়া – গর্বের কথা বৈ কি! জানা গেল, এ বছর প্রায় ১১টি বিভাগে পুরস্কৃত করা হয়েছে বিভিন্ন প্রকল্পকে৷ যেখানে প্রধান অতিথি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত'এর পাশাপাশি বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থাত ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ জামিলুর রেজা চৌধুরী৷
স্বাভাবিকভাবেই এ পুরস্কার পেয়ে ভীষণ খুশি ‘সামহয়্যার ইন'এর প্রতিষ্ঠাতা সৈয়দা গুলশান ফেরদৌস জানা ও প্রধান নির্বাহী আরিল ক্লোক্কেরহৌগ৷ সৈয়দা গুলশান ফেরদৌস জানা'র কথায়, ‘‘এটা আমার জন্য আনন্দের কথা এ জন্য যে, এই ব্লগ সাইট'টি আমি শুরু করেছি৷ কিন্তু, এটা আরো আনন্দের আমাদের ৮৫ হাজার ব্লগারের জন্য৷ কারণ, তারাই এই ব্লগ প্ল্যাটফর্মটাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন, সচল রেখেছেন, প্রাণবন্ত রেখেছেন৷''
উল্লেখ্য, গত কয়েক বছর ধরে ‘সামহয়্যার ইন' ডয়চে ভেলের সহযোগী৷ ২০১০ সালে ডয়চে ভেলের ষষ্ঠ বেস্ট অফ ব্লগস (সংক্ষেপে ববস্) বা সেরা ব্লগ প্রতিযোগিতার ১২ জন বিচারকের একজন ছিলেন সৈয়দা গুলশান ফেরদৌস জানা৷
প্রতিবেদন: দেবারতি গুহ
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক