জাতীয় সংগীতের রেকর্ড?
২৪ মার্চ ২০১৪সামহয়্যার ইন ব্লগে মারুফ অভিক লিখেছেন, ‘‘একত্রে জাতীয় সংগীত গাইলে কিংবা একত্রে পতাকা বানিয়ে রেকর্ড করে কি আসলেই দেশপ্রেম প্রকাশ পায়??!!'' তিনি তাঁর অফিসের এক বিদেশি সহকর্মীর উদাহরণ দিয়ে বলেন, ঐ কর্মীর দেশের স্কুলে নাকি জাতীয় সংগীত গাওয়া হয় না৷ এই তথ্য উল্লেখ করে অভিকের মন্তব্য, ‘‘...তার মানে কি তাদের মাঝে দেশপ্রেম নেই??!!! উত্তর হচ্ছে ‘আছে'৷ আছে বলেই আজ তারা এত উন্নত!! তারা ২৪ ঘণ্টা দেশপ্রেম দেশপ্রেম করে না বরং কাজের মাধ্যমে সেটা করে দেখায়৷''
একই ব্লগে সাইফ হাসনাত লিখেছেন, রেকর্ডের জন্য অর্থ খরচ না করে সেটা দিয়ে এমন কাজ করা উচিত যাতে দেশের চেহারা পাল্টে যায়৷ তাঁর কথা, ‘‘জাতীয় সংগীত রেকর্ড গড়ার বস্তু না৷ কোটি বাংলাদেশির হৃদয়ে প্রতি মুহূর্তে জাতীয় সংগীত বাজে৷''
উল্লেখ্য, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের এক প্রতিবেদনে সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরের একটি মন্তব্য ছাপা হয়েছে৷ তিনি বলেছেন, প্রায় তিন লাখ লোক একসঙ্গে জাতীয় সংগীত গাওয়ার জন্য ৫০ কোটি টাকা খরচ হবে৷
এ প্রসঙ্গে ‘‘শাহবাগ থেকে হেফাজত: রাজসাক্ষীর জবানবন্দী'' বইয়ের লেখক জিয়া হাসান ফেসবুকে লিখেছেন, ‘‘আমার প্রথম থেকেই একটা খটকা ছিল যে, জাতীয় সংগীত গেয়ে বিশ্ব রেকর্ড করার এই অনুষ্ঠান করতে ৫০ কোটি টাকা লাগবে কেন৷ প্রধানমন্ত্রী যদি ঘোষণা দেন, তাহলে ঢাকা শহরের চার পাঁচ লক্ষ লোক ২৬ মার্চের অনুষ্ঠানে এমনিতেই যাবে৷ এমনকি স্কুলের স্টুডেন্টদেরকে দিয়েও এইটা করানো যায়, সরকার যদি চায়৷'' এরপর তিনি তাঁর এক বন্ধুর কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জানান, এই পুরো কাজের বড় একটা অংশের কন্ট্রাক্ট দেয়া হয়েছে ‘এশিয়াটিক'-কে ৷ সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরকে এই কোম্পানির অন্যতম মালিক হিসেবে উল্লেখ করে জিয়া হাসান প্রশ্ন করেন, ‘‘মন্ত্রী এবং এমপিদের সরকারের সাথে ব্যবসা করা আইনত নিষিদ্ধ৷ তাহলে এইটা একটা প্রত্যক্ষ দুর্নীতি হইলো না?''
উল্লেখ্য, ‘লাখো কণ্ঠে সোনার বাংলা'-র উদ্যোক্তা বাংলাদেশ সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়৷ আর সার্বিক তত্ত্বাবধান ও সহযোগিতায় রয়েছে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ৷ উদ্যোগ সফল করতে ফেসবুকে একটি পেজ এবং একটি ওয়েবসাইট চালু করা হয়েছে৷
সংকলন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ